প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে মেঘনা নদীর ১০ কিলোমিটার বুক জুড়ে অবাধে উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে দেশের বৃহৎ আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জ বন্দর ও বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীড লাইন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কেউ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করার সময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) আক্তারুন্নেসা শিউলি মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার বিকালে জান্নাত নামে একটি ড্রেজিং মেশিনসহ চালককে আটক করেছে। অবৈধভাবে ৫-৭ লাখ ঘনফুট বালি উত্তোলন করায় ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চরসোনারামপুরে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি চরসোনারামপুরে ১৩২কেভি জাতীয় গ্রীড লাইনের টাওয়ার হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। এলাকাবাসীর পে স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার মোঃ মিজান খাঁ হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে আদালত বালু উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ খলিলুর রহমান জানান, মেঘনা নদীর সোহাগপুর বাহাদুর পুর বালু মহালের উপর মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করায় হাইকোর্ট ইজারা কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপো করে বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তারুন্নেসা শিউলি নেতৃত্বে ভ্রামমান আদালত অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজিং মেশিনসহ একজনকে আটক করে।
|