একাত্তরের এই দিনে আশুগঞ্জে ২৫০ জনকে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ১৪ এপ্রিল আশুগঞ্জ গণহত্যা দিবস। একাত্তরের এ দিনে পাকিস্তানি বর্বরবাহিনী আশুগঞ্জে ২৫০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আধুনিক সমরাস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে ইস্টার্ণ জোনের হেড কোয়ার্টার স্থাপনের লক্ষ্যে হেলিকপ্টারযোগে আশুগঞ্জের সোনারামপুরে পাক বাহিনীর প্রায় ৫ হাজার সৈনিক অবতরণ করে। এখান থেকে তারা ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপারেশন চালায়।
১৪ এপ্রিল পাক সোনারা আশুগঞ্জে অবতরণ করে। প্রথমে তারা আশুগঞ্জ বাজারে আসার পথে সোহাগপুরে হামলা চালায়। পরবর্তীতে সোনারামপুর, আশুগঞ্জের ধানের আড়তে, আশুগঞ্জ মাছ বাজার, রেল গেটে, রেল স্টেশনে, বড়তল্লায়, খোলাপাড়ায়, লালপুরে ও চরচারতলা গ্রামের নিরীহ লোকজনকে কিছু বুঝার আগেই আটক করে লাইনে দাড় করে ব্রাশফায়ার করে। আড়াই শতাধিক নিরীহ লোক সেদিন নিহত হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাকিরা বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে এনে সাইলোর কাছে, মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর কাছে, ধানের আড়তের মাঠে, মাছ বাজারে, রেল স্টেশরে কাছে আশুগঞ্জের ৫টি স্পটে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও আশুগঞ্জে কোনো স্মৃতি স্থম্ভ গড়ে উঠেনি। যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে দেশ ও জাতি আজ স্বাধীন, তাদের কবরগুলো সংরক্ষণের জন্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশুগঞ্জ উপজেলাবাসীর আশা।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন শোক র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।