জনগনের মতামতের জন্য আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান



আবু আসিফ আহমেদের খোলা চিঠি।।। খোলা চিঠি
আমি আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চার বৎসরের উপর চেয়ারম্যান হিসাবে সততার সংগে দায়িত্ব পালন করে আসছি।এই সময়ের মধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় রাষ্টীয় কর্মসূচীর অনুষ্ঠান পালনের জন্য শহীদ মিনার সহ মাঠের ব্যবস্থা করা হয়, ইনডোর স্টেডিয়াম , শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক অডিটরিয়াম এর নির্মান করা হয়, শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাজেট রাখা হয় , ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানে জমি জটিলতা দূরীকরণ ও শুভ উদ্বোধনের ব্যাপারে উদ্দ্যোগ গ্রহন , কাচারী বিথিকা নির্মাণের সিদ্ধান্তের পর প্রথম বরাদ্দ দেওয়া হয় উপজেলা পরিষদের তহ্ববিল হতে সামনে থাকেন সন্দ্বীপ কুমার সিংহ , দ্বিতীয় পুকুরের চারপাশে রাস্তা নির্মানের কাজও শুরু করা হয় সামনে থাকেন আমিরুল কায়সার , আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন লি: এর সাথে সমন্বয় করে গোল চত্বর হতে হাজী আবু তাহের সড়কসৃষ্টি করন , দীর্ঘদিনের সমস্যা শরিয়ত নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণে জনসাধারণের স্বেচ্ছায় অনুদান ও পরিষদের অর্থায়নে সমস্যাটির সমাধান করা , কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন ,বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্রীজ কালভার্ট নির্মান , দুর্গাপুর তাজপুর রাস্তার আংশিক বরাদ্দ ইত্যাদি ইত্যাদি সহ এডিপি বাস্তবায়ন করা হয় পরিষদের দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান , ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান সাহেবদের সার্বিক সহযোগীতা এবং পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও সকল কর্মচারীর সহযোগীতায় । উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের পরিমান কম হওয়ার কারনে জনগনের কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হয় নাই।
উন্নয়নের আর একটা বড় বাঁধা – নাম সর্বস্ব কিছু সংগঠনের সভাপতিদের হীন মন-মানসিকতার জন্য।প্রায় চৌদ্দ বৎসর যাবত নির্বাচন বিহীন সভাপতির কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু করা বোকামী ছাড়া আর কি? যে সমিতির সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষমতা সরকার দেয় নাই- সেই সমিতির নাম না বলাই শ্রেয় বলে মনে করি।
এখন আসি মোদ্দকথায় যার জন্য আমার এই খোলা চিঠি । এম পি মহোদয়ের ডিও লেটারের মাধ্যমে শরিয়তনগর বাজার রোডের বরাদ্দ আনতে আমাকে সাহায্য করেছেন আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় মো: রেজাওনুর রহমান, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আমিরুল কায়সার সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। আমি সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই ।
আমাদের এই রাস্তার ইতিহাস খুবই খারাপ। পনের বৎসরের মধ্যে প্রথম টেন্ডারের কাজের সময় কন্টাক্টরকে মারধরের কারনে মামলা হয়েছিল আমি ছিলাম ঐ মামলার স্বাক্ষী।
দ্বিতীয় টেন্ডারেও একই ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার পর থানা-পুলিশ আসে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগীতায় শেষ রক্ষা হয় অনেকের।
এখন তৃতীয় টেন্ডারের কাজ শেষ হওয়ার আগে সেই মহলই আবারও সোচ্চার হয় আর তার সাথে যোগ হয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল যারা অনেকে রাস্তা দখল করে আছেন, অনেকের দুইটি ড্রেন থাকার পর রাস্তা ভেংগে এককভাবে আরও একটি ড্রেন না দেওয়ার কারনে, অনেকে বিনে পয়সায় ডালাই না পাওয়ার কারনে , অনেকে চাঁদা না পাওয়ার কারনে , অনেকের সিমানায় ছাড় না দেওয়ার কারনে কন্টাক্টর সহ সরকারী দায়িত্ব পালনকারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও গালি গালাজ করেছেন আমি তাদের নিন্দা জানাই। কাজের মান খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছে তাদের কাছে অভিযোগ করার বিধান আছে,মন্ত্রনালয় আছে কিন্তু কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার কারও নাই।এতে করে আমাদের এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় ও উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।ষোল ফুট প্রসস্থ রাস্তার ডালাই এর অতিরিক্ত ডালাই যারা নিয়েছেন তারা কি কন্টাক্টর সাহেবের অনুমতি নিয়েছেন কিনা ?
জাগ্রত আশুগঞ্জ বাসির ব্যানারে অতীতে রেল স্টেশনের গ্রেডের দাবিতে আমরাও আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলাম ।রাস্তার কাজের মান নিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন এটা উনারা দিতেই পারেন কিন্তু এর সাথে যদি রাস্তার মধ্যে মধ্যে স্থাপিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ট কারী দুইটি পিলারের কথা ও নূর মেডিকেল এর সামনে রোড়ের সাথে গর্তের জনদূর্ভোগ সৃষ্টির ব্যাপারটা উল্লেখ করা উচিত ছিল বলে মনে করি।রাস্তার কাজের গুনগত মান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করার পরও আসল পরীক্ষা হবে সময় ও জনগনের উপর রাস্তা স্থায়িত্ব কতদিন ভাল থাকে তার উপর । বিচারের দ্বায়িত্ব জনগনের উপর ছেড়ে দিলাম।
আমাদের মনমানসিকতা ও ভাবমূর্তি উন্নত না হলে সরকারী লোকজনের কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে যায়।
আমার এই খোলা চিঠি কাউকে খাটো করার জন্য নয়- এলাকার উন্নয়ন করতে হলে সমিষ্টগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখাশুনা করলে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব।।
বর্তমানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মৌসুমী বাইন হীরা আরও প্রগতিশীল ও বিচক্ষন কর্মকর্তা – যে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
আমরা অচিরেই কাচারী বিথীকার রাস্তার জন্য বিশ লক্ষ টাকা ও বাজারের পানি নি:ষ্কাশনের ড্রেনের জন্য দশ লক্ষ টাকার টেন্ডারের ব্যবস্থা করেছি।
অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন।
ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক
আবু আসিফ আহমেদ
চেয়ারম্যান
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।।।