Main Menu

খাদ্য সহায়তা নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ইউএনও নাজিমুল

+100%-

করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে সরকার সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে দেয়ার কারনে কর্মহীন হয়েছে নিম্ন আয়ের সাধারণ লোকজন। এতে করে অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে তাদের। অনেকেই চক্ষু লজ্জার কারনে কারো কাছ থেকে সাহায্য নিতে যায়না। ঠিক তাদের পাশে দাড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তালিকা করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে ইউএনও নিজে গিয়ে খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। বেঁদে পল্লীতেও নিজে গিয়ে তাদের হাতে পৌছে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেন সকলেই।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই জেলার আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমুল হায়দার উপজেলার আড়াইসিধা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরবকারি নির্দেশনা অমান্য করে চায়ের দোকান খোলা রাখার অপরাধে ফারুক মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা ও সেখানে বসে আড্ডা দেয়ার অপরাধে আরো তিন জনকে পাঁচশ টাকা করে প্রত্যেককে জড়িমানা করা হয়। এর পরে তিনি চলে যান মানুষের বাড়ি বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহয়তা পৌছে দিতে। প্রতিনিই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

দুপুরে উপজেলার আশুগঞ্জের রেল কলোনীর বস্তিতে ৩৪ টি পরিবারের নিজ বাড়িতে গিয়ে কাছে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। এসময় নিজ বাড়িতে খাদ্য সহয়াতা পেয়ে সবাই অনেক খুশী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য সহায়তা নেয়া একজন জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাব রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অনেকদিন যাবত কাজ ছাড়া থাকার কারনে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। বাড়িতে থেকে ইউএনও স্যারের সাহায্যই আজ প্রথম পেলাম। চক্ষু লজ্জার কারনে কারো কাছে যেতেও পারি না। ইউএনওকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।

উপজেলার চরচারতলা এলাকার মহরম পাড়ায় একদল বেদে থাকেন এমন সংবাদ শুনে ইউএনও খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে যান তাদের কাছে। সেখানে গিয়ে ২১ টি বেঁদে পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। প্রথমবারের মত এমনভাবে খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি হন তারা। এসময় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

বেঁদে পল্লীতে সহায়তা পাওয়া আনোয়ারা ও মুরসালিন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের এখানে ইউএনও স্যারের আগে আর কেউ আসে নাই খাদ্য সহয়তা দিতে। আমরাও কাজ করতে পারছি না। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটাই কষ্টে দিন কাটছিল। এমন সময় এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার জানান, সরকারের দূর্যোগ মোকাবেলা ও ত্রান তহবিল থেকে পাওয়া জিআর খাদ্যশস্য ও জিআর ক্যাশ এর তহবিল থেকে পাওয়া সহায়তা আমরা দুস্থ, অসহায়, গরীব ও নি¤œ আয়ের লোকজনের মাঝে পৌছে দিচ্ছি। এছাড়াও যারা করোনা পরিস্থিতির কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদেরও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সহায়তার মাঝে রয়েছে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেয়াজ, এক কেজি ডাল, এক কেজি সয়াবিন তেল ও একটি সাবান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল এলাকায় এই খাদ্য সহায়তা পৌছে যাবে।

তিনি সকলের অবগরি জন্য জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারনে সরকার সকলকে ঘরে থাকতে বলেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। অযথা বাহিরে ঘুরা ফেরা করলে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জড়িমানা করা হবে।






Shares