ইউপি নির্বাচন:: নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে প আশুগঞ্জে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ-আহত অর্ধশতাধিক



ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হয়।
চারটি স্থানে সংঘটিত এ সংঘর্ষে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পুরো গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুর্গাপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। একই গ্রামের রোমান, সাদেক তাঁর বিরোধিতা করে আসছিলেন। এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থক মগল মিয়া, ফরিদ ও তপন মিয়া একই গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাদেক মিয়ার ভাতিজা জুয়েলকে মারধর করেন। আজ সকালে মগল মিয়া ও ফরিদ মিয়ার লোকজন দুর্গাপুরের রোমান মিয়ার লোকজনের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চারটি স্থানে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দাঙ্গা পুলিশ গিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।