Main Menu

আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংকটে ফের ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ

+100%-

গ্যাসের সংকটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ইউরিয়ার উৎপাদন।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার (১ মার্চ) রাত থেকে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

বছরের বেশিরভাগ সময় গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন বন্ধ থাকায় দিন-দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রিলড ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী এ কারখানাটি। এর আগে, গেল বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে কারখানায়। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এরপর সকল ধাপ অতিক্রম করে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়।

আশুগঞ্জ সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১,১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়।

গ্যাস সংযোগ পেলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে ইউরিয়া উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ফলে রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ. বি. মাহমুদ জানান, “গ্যাস ছাড়া সার উৎপাদন করা যায় না। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন চালু হবে—তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”

এদিকে, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাক প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা বলেন, “সরকারি সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে—সেটিও সরকারি সিদ্ধান্ত। চলতি মৌসুমে কারখানাটিতে গ্যাস সংযোগ নাও দেওয়া হতে পারে।”