নাসিরনগরে ভুল চিকিৎসায় কিশোরীর মৃত্যু:: ১জন আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলায় ভুল চিকিসায় এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে অবস্থিত মেঘনা মেডিকলে সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম নাসরিন আক্তার। নাসরিন উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে। এঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। নজরুল নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক ওয়ার্ড বয় ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে নাসরিন বাম পায়ে আঘাত পান। সেসময় তার বাম পায়ের হাঁটুর উপরের অংশের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক বছর চার মাস ঢামেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেকানে তার পায়ে রড বসানো হয়। গত শনিবার বিকেলে নাসরিনের পায়ের রড খোলার জন্য উপজেলা সদরে নিয়ে যান। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মেঘনা মেডিকেল সেন্টারে নাসরিনকে
নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। এলাকায় চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম আট হাজার টাকার বিনিময়ে পায়ের রড খুলে দিবে বলে নাসরিনের পরিবারে সঙ্গে চুক্তি করেন। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে পায়ের রড খোলার সময় নাসরিন মারা যায়। এসময় নাসরিনের পরিবার রাস্তায় হৈ হুল্লোড় শুরু করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নজরুলসহ তিনজকে আটক করে পুলিশ। নিহতের মা রাশেদা বেগম জানান, নজরুলের অপরিপক্কতার জন্য তার মেয়ের মৃত্যু
হয়েছে। তিনি এঘটানার বিচারের দাবি করেছেন।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বজনরা রাস্তা অবরোধ করে। পরে আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসক নজরুলকে আটক ককরে থানায় আনা হয়। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরামুল্লা বলেন, একজন ওয়ার্ড বয় কি ভাবে হাড়ভাঙ্গার চিকিৎসা করে সেটা আমার বোধহম্য নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।