নাসিরনগরে স্কুল ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরনের ঘটনায় ওই দিনই বিচারে অপহরনকারীকে কান ধরে উঠবস করে ৮ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে শেষ করে দিয়েছে বিচারকরা। জরিমানার টাকা তাও আবার স্কুলের ফান্ডে। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে ফান্দাউকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল ৯ ঘটিকায় ফান্দাউক স্কুল সংলগ্ন এলাকায়।
সরেজমিন ফান্দাউকে গিয়ে জানা গেছে, আতুকুড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ঢাকার ফেরীওয়ালা নুর আহম্মদ সকাল নয় ঘটিকার সময় স্কুলের গেইট থেকে জোরপূর্বক মেয়েটিকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী মোড়াকরি গ্রামের তিন ছেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে যায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে এলাকার শালীসকারকদের নিয়ে শালীসে বসে। ওই সময়ে শালীসে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশীর আহম্মদ,আতুকুড়া গ্রামের মাসুক মেম্বার,আলী আসাদ, জয়নাল আবেদিন,ফান্দাউক গ্রামের মোঃ ফরহাদ মেম্বার,মোঃ আওয়াল মেম্ভার মোঃ আমীর আলী শাহ,মোঃ বকুল মিয়া সর্দার,আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসকের) মোঃ জানে আলম (সাইয়েম) আমীন মোঃ মারজান সহ আরো অনেকেই।
শালীস কারকরা বিচারে অপহরণকারীকে ছাত্রীর অভিভাবক এবং বিচারকদের পায়ে ধরিয়ে মাফ চাওয়া এবং কিছু কিল, ঘুষি লাথি তাপ্পরমারে, একশ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় ।
তবে জরিমানার টাকা ছাত্রীকে না দিয়ে স্কুলের ফান্ডে রেখে দেয় । জরিমানার টাকা স্কুলের ফান্ডে রাখা যায় কিনা, জানতে চাইলে ?ভারপ্রাপ্ত প্রধাণ শিক্ষক বশীর আহম্মদ বলেন আমি নতুন মানুষ এতকিছু বুঝিনা। সর্দাররা যা ভাল মনে করেছে তা করেছে ।