নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব গ্রহণ
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এটিএম মরিুজ্জামান সরকার বলেছেন উপজেলা পরিষদ হবে সকলের, যেখানে কোন বৈষমমূলক আচরণ করা হবে না। উপজেরা পরিষদের সেবা সকলেই সমানভাবে উপভোগ করবে,সকল এলাকায় সমানভাবে উন্নয়ন করা হবে। জনগন অনেক আশা নিয়ে আমাদেরকে বিপুল ভোটে নিবার্চিত করেছে। তাদের আশা-আকাংখার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই যেন তারা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। সকল কর্মকর্তা কর্মচারী যেন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সকলের সহযোগিতায় নাসিরনগরকে একটি আধুনিক উপজেলায় রুপান্তরিত করব।
তিনি সোমবার সকালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউল ইসলাম,উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গনেশ চন্দ্র মল্ডল, ওসি আবদুল কাদের,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাফর আহমেদ,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েতুল ফারুক ভুইয়া,সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিজ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ করিণ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন ভুইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ছামদানী ও সাংবাদিক আকতার হোসেন ভুইয়া প্রমূখ।
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এটিএম মরিুজ্জামান সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অসুস্থ থাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না অফিসে আসতে পারেনি। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমেই তাদের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।
সভায় বিভাগীয় কর্মকর্তারা নবাগত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে অভিন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
চেয়ারম্যান পদে এটিএম মরিুজ্জামান সরকার ভাইস চেয়ারম্যান পদে অঞ্জন কুমার দেব ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না নির্বাচিত হন। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশে তারা গত ১৪ এপ্রির্ল চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে শপথ গ্রহন করেন । শপথ গ্রহনের ৭ দিন পর পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেন তারা। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের তিনলক্ষাধিক লোকের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা তিনজন।