নাসিরনগরে বিএনপি প্রার্থীর পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে নিহত-১,আহত- ১০।
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, প্রতিনিধি : সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিতদের প্রহারে একজন নিহত ও দশজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- ধরমন্ডল গ্রামের আলাই মিয়ার পুত্র হাফিজ মিয়া (২৫), বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নানের পোষ্টার লাগাতে গেলে আওয়ামীলীগ সমর্থিতরা তা ছিড়ে ফেলে। এই নিয়ে হাফিজ মিয়া প্রতিবাদ করলে আমীর আলী, রমজান আলী সহ অনেক লোকজন মিলে হাফিজকে মারপিট শুরু করে। এ সময় হাফিজের মা জয়ফুল বেগম (৫৫) এগিয়ে আসলে থাকে ও মারপিট করে। পরে দুই পক্ষের মাঝে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়। আহতদের হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর জয়ফুল বেগমকে মঙ্গলবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজন আমার সমর্থিত কর্মীর মাকে মেরে ফেলেছে। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করছে। গতকাল লক্ষীপুর বাজারেও তারা আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে। শুনেছি ২০ তারিখে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডঃ ছায়েদুল হক নাসিরনগরে আসবেন।
তিনি বলেন মন্ত্রীর আগমন সম্পূর্ণ আচরণবিধী লংঘনের সামিল। এ নিয়ে আমি জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। মন্ত্রী আসলে সুষ্ট নির্বাচন হবে কি না, আমরা র্দুচিন্তায় আছি। যাতে নাসিরনগরে অবাধ সুষ্ট, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনী আচরণবিধী লংঘন না হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি। ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই জানান- তারা শুধু বিএনপি কর্মীকে মারপিটই নয় তাদের বাড়ী ঘরও ব্যাপক ভাংচুর করেছে।