Main Menu

নাসিরনগরে হামলা-ভাঙচুর!!

রসরাজের জামিন হয়নি, শুনানি ৩ জানুয়ারি ::মুঠোফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ

+100%-

rosrajডেস্ক ২৪::পবিত্র কাবা শরিফকে বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাসিরনগরের রসরাজ দাসের জামিন হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে রসরাজের জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক জামিনের শুনানি ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে ধার্য করেন।

এদিকে নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের জামিন হয়েছে। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- নাসিরনগরে উপজেলার উজ্জ্বল ও হৃদয়।

রসরাজের আইনজীবী নাসির মিয়া বলেন, “রসরাজের জামিনের জন্য আগেই বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করা ছিল। বৃহস্পতিবার জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য থাকে। আমরা রসরাজের জামিনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করি। আদালত তার বিষয়ে সবকিছু শুনে ৩ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন। আশা করি, সেদিন রসরাজের জামিন হবে।”

কারণ ফরেনসিক রিপোর্টে রসরাজের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে এই ছবি পোস্ট করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ২৮ অক্টোবর রসরাজ দাসের আউডি ব্যবহার করে পবিত্র কাবা শরিফকে বিকৃত করা একটি চিত্র পোস্ট করেন। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওছার হোসেন বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩০ অক্টোবর রসরাজকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অপরদিকে এলাকাবাসী ওই ছবি ফেসবুকে দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নাসিরনগরের হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

এদিকে গ্রেফতারকৃত রসরাজ দাসের মুঠোফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।একই আদালতে আজ রসরাজের জামিনের বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের আংশিক শুনানি শেষে পুলিশকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ২৮ নবেম্বর জেলা পুলিশের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে রসরাজের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে ধর্ম অবমাননাকর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি বলে উল্লে¬খ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরেনসিক বিভাগ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেসবুকের ওই পোস্ট রসরাজের মুঠোফোন থেকে করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। অন্য জায়গা থেকে তা পোস্ট করা হয়েছে। অন্য কেউ রসরাজের ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড জানত। নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরণ বেড় বাজারে আল-আমিন সাইবার পয়েন্ট অ্যান্ড স্টুডিও থেকেও ছবিটি পোস্ট করা হয়নি। সেখান থেকে জব্দ করা কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্র পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা যায়।
ওই স্টুডিওর মালিক জাহাঙ্গীর আলম ফেসবুকের পোস্টটি প্রিন্ট করে এলাকায় প্রচারপত্র আকারে বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। নাসিরনগরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট মামলায় ১০২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।






Shares