Main Menu

রসরাজকে আইনি সহায়তা দেবে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি

+100%-

courtডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ফেসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগে আটক রসরাজ দাসকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি করতে রসরাজকে ষড়যন্ত্রকে করে ফাঁসানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন এই সমিতির নেতারা। আটকের পর ব্রাহ্মণবাড়ির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়ায় মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও মনে করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও মহিলা পরিষদের প্রতিনিধিরা ঘটনা পরিদর্শন শেষে রোববার (৬ নভেম্বর)  প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন প্রকাশকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির রুমে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়পন্থি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকারের নেতৃত্বে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যেভাবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে, তা বানচনাল করার জন্য স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের চিহ্নিত শত্রু এবং তাদের সহযোগিরা রামুর সাম্প্রদায়িক হামলা থেকে আরম্ভ করে একের পর এক জঙ্গি, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

রসরাজ নাসিরনগর এলাকার অল্প শিক্ষিত গ্রামীণ জেলে। তাঁর পক্ষে ফটোশপ ব্যবহার করে ফেসবুকে কোন পোস্ট দেয়ার দক্ষতাই নেই বলে এর আগে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। রোববার একই কথা বলেন ওই এলাকার সাংসদ ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে তারা বলেন ওই বিতর্কিত পোস্ট রসরাজ নয় ঢাকা থেকে অন্য কেউ দিয়েছে।

রসরাজকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে উল্লেখ করে আমীর-উল ইসলাম বলেন, গত ৩ নভেম্বর রসরাজকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানেও এক সাম্প্রদায়িক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। রসরাজের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক আইনজীবী দাঁড়ালেও তার পক্ষে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। রসরাজকে কোনও কিছু জিজ্ঞাসা না করে ম্যাজিস্ট্রেট তার ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও বলেন, আইনজীবী নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।

রসরাজের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অবিলম্বে রসরাজকে ঢাকায় এনে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা দরকার। কেউ সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে এ বিচার যেন প্রভাবিত করতে না পারে, সেজন্য রসরাজের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ মামলা ঢাকায় স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, নাসিরনগরের হামলাসহ সারাদেশে হামলার ঘটনা একটি চক্রান্ত। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি আইনজীবীরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। নাসিরনগরে আইনজীবীদের প্রতিনিধি দল যাবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ হাসান আরিফ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবির এবং মহিলার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাখি দাস।






Shares