নাসিরনগরে মহাজোট প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সংবাদ সম্মেলন
এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর) আসনের বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে আচরন বিধি লঙ্গন ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন মহাজোট প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
বুধবার দুপুরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করে বলেন নির্বাচনের প্রাক্কালে ও ভোটের দিন মহাজোট প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা যাতে কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্যে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং ৩০ ডিসেম্বর রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়ার হুমকী দেয়া হচ্ছে। এতে লিখিত বক্তব্যে বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন আরো অভিযোগ করেন একরামুজ্জামান ভোটের প্রচারনার নামে এলাকায় প্রচুর বহিরাগত লোক নিয়ে এসেছেন এবং অতীতের মত্যে নৌকার জোয়ার ঠেকাতে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন।
বিএনপি প্রার্থী একরামুজ্জামানকে ২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর নাসিরনগরে সংগঠিত সহিংস ঘটনার প্রধান পৃষ্টপোষক বলেও অভিযুক্ত করেন তিনি। সেসময়ও কালো টাকা ছড়িয়ে তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ মহাজোট প্রার্থীর। সংবাদ সম্মেলনে হামলার কিছু ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে জানানো হয় ১০ডিসেম্বর চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সুরুজ আলীর বাড়িতে বিএনপি মিছিল করে গিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। ১৬ ডিসেম্বর চাপরতলা ইউনিয়নের নূর আলম ভূইয়া সেজুর বাড়িতে বাঁশের তৈরী নৌকা আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা। ২৪ ডিসেম্বর ফেদিয়ারকান্দি গ্রামে নৌকা প্রতীক ভাঙ্গচুর করা হয়। এর প্রতিবাদ করায় আওয়ামীলীগের কর্মী নূর ইসলাম ও জুয়েল আহত হয়। এছাড়া নূরপুর ও গোয়ালনগর গ্রামে আওয়ামীলীগের প্রচারনায় বাঁধা দেয়া হয় এবং দলের নেতাকর্মী রুবেল মিয়া,সেলিম,হাবিব ও রোমান মিয়াকে গুরতর আহত করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডা: রাফি উদ্দিন আহমেদ,সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান সরকার,যুবলীগ সভাপতি অঞ্জন কুমার দেব,পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি হরিপদ পোদ্দার,সাবেক সভাপতি কাজল দত্ত,ছাত্রলীগ আহবায়ক নাসির উদ্দিন রানা,সাবেক ছাত্রনেতা রায়হান ভূইয়া।