গানের অনুষ্ঠানে বাধাঁ দেয়ার জের
নাসিরনগরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ



নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গানের অনুষ্ঠানে বাধাঁ দেয়ার জেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণ মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের।
ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাজুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলার আসামি তাজুল ইসলাম লাখাই উপজেলার মুড়াকড়ি ইউনিয়নের সাতাউক গ্রামের আ. সোবহানের ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে নূরে মদিনা মাদ্রাসার কাছে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিকটিমের দাদা মো. খেলু মিয়া। গানের নাম করে যাতে কোন অশ্লীল কাজ না হয় সে জন্য বাঁধা প্রদান করে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলাম। এতে ক্ষুদ্ধ হয় খেলু মিয়া। পরে খেলু মিয়া তাজুলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ফঁন্দি করতে থাকে এবং বিভিন্ন জনের কাছে বলতে থাকে যে ভাবেই হোক মওলানা তাজুলকে এলাকা থেকে বিদায় করতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের স্কুল পড়–য়া নাতনীকে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার মিথ্যে মামলা দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে। চেয়ারম্যান বাহার আরো জানান, আমরা বার বার ভিকটিমের সাথে কথা বলতে চেয়েছি প্রকৃত ঘটনা জানা জন্য কিন্তু তারা ভিকটিমের সাথে কথা বলতে দেয়নি।
ধর্ষণ চেষ্ঠা মামলার আসামি ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, খেলু মিয়ার নাতনী (ভিকটিম) আমার মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে। সে জন্য প্রতি মাসে ৫০ টাকা বেতন দিতে হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তার কাছে মাদ্রাসার বেতন চাওয়া হয়। কিন্তু ওই ছাত্রী বেতন দিতে পারবে না বলে জানায়। বেতন দিতে না পারলে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তখন মেয়েটি (ভিকটিম) কান্নাকাটি করতে থাকে। তিনি আরো জানান, যদি আমি অপরাধী হই তাহলে আমার বিচার করবে আদালত। আর যদি অপরাধী না হই তাহলে কেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হলো আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ধরমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. রেজওয়ান উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনার সত্যতা জানতে বারবার মেয়েটির সাথে কথা বলতে চেয়েছি কিন্তু তারা মেয়েটির সাথে কথা বলতে দেয়নি। হুজুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার যে মামলা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।