নাসিরনগরে দেড়শ জনকে আসামী করে পুলিশের মামলা



ডেস্ক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় এবার পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে এ দুটি মামলায় করা হয় বলে জানিয়েছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর। এতে অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে কাজল দত্ত ও নির্মল দত্ত বাদী হয়ে গত ৩১ অক্টোবর (সোমবার) নাসিরনগর থানায় দুটি মামলা করেছিলেন।
গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের পঞ্চম শ্রেনী পাশ এক জেলের ফেসবুক আইডি থেকে কাবাঘরের ফটোশপ করা একটি ছবি নিয়ে ধর্মানুভুতি আহতের কথা বলে আহলে সুন্নাত আল জামাত ও হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ আয়োজন করে। ওই সমাবেশ থেকে কয়েকটি মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন বলে অভিযোগ উঠে ওসি আব্দুল কাদির ও ইউএনও চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে ওসি আব্দুল কাদির ও ৬ দিন পর ইউএনও চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর এলাকায় যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
আহলে সুন্নাতের উস্কানিমূলক সমাবেশে অংশ নেয়ার অভিযোগে হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, চাপড়তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক আবুল হাশেমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ।