সরাইলে ডাকাত পুলিশ বন্দুক যুদ্ধ
মোহাম্মদ মাসুদ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ডাকাতের কবলে পড়েছে পুলিশ। পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে ডাকাত দল। ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে হয়েছে বন্দুক যুদ্ধ। ডাকাতের আক্রমনে আহত হয়েছে নয় পুলিশ সদস্য। গুলিবিদ্ধ করে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে দূর্ধর্ষ ডাকাত তাইক্কা (২৮) কে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় সরাইল- অরুয়াইল সড়কের বড়িউড়া কবরস্থানের নিকটে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডাকাত তাইক্কাকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আসামী গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে টহল দিয়ে গভীর রাতে থানায় ফেরার পথে বড়িউড়া নামক স্থানে সড়কে খেড় ফেলে পুলিশকে বহনকারি সিএনজি অটোরিক্সাটিকে আটক করে সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত। সিএনজি থেকে পুলিশ নামা মাত্র ডাকাতরা মুহুর্মূহু ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পুলিশ অস্র তাক করে ডাকাতদের দিকে এগিয়ে গেলে দেশীয় অস্রের সাহায্যে পুলিশের উপর হামলা চালায় ডাকাতদল। ডাকাতরা এক সময় পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ডাকাতদের উদ্যেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আধা ঘন্টা চলে ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধ। এক পর্যায়ে দূর্ধর্ষ ডাকাত এলাকার চিহ্নিত ত্রাস তাকলিন ওরফে তাইক্কা ডাকাত বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে বসে পড়ে। পুলিশ কুখ্যাত তাইক্কাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে তাইক্কার সহযোগী গুনারা গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ডাকাত ফারুক (৩০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছোঁড়া, রামদা, চাপাটি ও কার্টার সহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ মোট ১৯ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। অপারেশনে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই ইশতিয়াক আহমেদ, এস আই আবদুল আলীম, এস আই আবু বক্কর সিদ্দিক, এস আই আবদুল্লাহ খালেদ সাকিব, কং-৪২৫- মঈনুল, কং-৯১১- ইউসুফ রানা, কং-৭৮৬- ইব্রাহিম, কং-৬৮৪- শ্যামল মিয়া ও কং- ৮৫৪- মোফাজ্জল। আহতরা সরাইল ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডাকাত তাইক্কা নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের জুর আলীর পুত্র। তাইক্কা ডাকাতের গ্রেপ্তারের খবরে সরাইল ও নাসিনগর এলাকার সাধারন মানুষ ও পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে স্বস্থ্যি ফিরে এসেছে। সে সরাইল- নাসিরনগর , সরাইল- অরুয়াইল ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সহ বিভিন্ন জেলায় পরিবহনে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে। নাসিনগর, সরাইল সহ কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে এক ডজনেরও অধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, ডাকাতের বিরুদ্ধে আমাদের জেহাদ অব্যাহত আছে। গত ২/৩ দিনে দূর্ধর্ষ ৪/৫ জন ডাকাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছি। সরাইলকে ডাকাত মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।