সরাইলের হাওর বিলের মাছ লুটে নিচ্ছে দুস্কৃতিকারীরা বৈধ ইজারাদারকে প্রাণনাশের হুমকি
মোহাম্মদ মাসুদ ঃ সরাইল উপজেলার শাপলা বিলের বৈধ ইজারাদারকে মারধর করে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ লুটে নিচ্ছে এক দল দুস্কৃতিকারী। বাঁধা দেওয়ায় সংখ্যালঘু ওই ইজারাদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। দুস্কৃতিকারীদের তান্ডবের কাছে অসহায় দরিদ্র মৎসজীবিরা। সর্বস্ব খুঁইয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে তাদের। একাধিকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পরও তাদের অবৈধ দৌরাত্ব বন্ধ করা যাচ্ছে না। বৈধ ওই মৎসজীবিরা চব্বিশ ঘন্টা থাকে আতঙ্কে। জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শাপলা বিলের জলমহাল গত পহেলা বৈশাখ থেকে সরকার তিন সনের (তিন বছর) জন্য ইজারা প্রদান করেন। সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ওই ইজারা গ্রহন করেন। সরকারের ঘরে জমা দেন রাজস্ব। শাপলা বিল ইজারা গ্রহনের পর থেকে বিলের পার্শ্ববর্তী সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের রইছ মিয়া ও ছাদেক মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক দুস্কৃতিকারী জোরপূর্বক মাছ নিধন করে আসছে নিয়মিত। বাঁধা দিলেই তারা ইজারাদারদের মারধর করে থাকে। বাধ্য হয়ে সমিতির সভাপতি ভরত চন্দ্র দাস গত ১৪ নভেস্বর রইছ মিয়া ও ছাদেক মিয়াসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মারধর করে মাছ লুটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আসামিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে গত শুক্রবার (২২-১১-১৩) ভোরে ইজারাদারদের লোকজনকে মারধর করে মাছ নৌকা ও জাল সহ আড়াই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নেয়। সভাপতি ভরত চন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, মামলা করে এখন আমরা বিলেই যেতে পারছি না। মামলা তুলে না নিলে তারা আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। জায়গা জমি বিক্রি করে বিল ডেকে এনে এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.কামরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। এরা দাঙ্গাবাজ। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা খুব ভালভাবে দেখছি। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। তাদের অনেক জাল আটক করে পুড়িয়ে দিয়েছি। |