Main Menu

১৩ মাস পর দায়িত্ব পেলেন সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ : দীর্ঘ এক বছর এক মাস পর দায়িত্ব ফিরে পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। সুপ্রিম কোর্টের ( হাইকোর্ট বেঞ্চ) এক আদেশে গতকাল বুধবার সকালে তিনি সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেছেন। একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামী হয়ে এ বছরের ৭ জানুয়ারী জেলহাজতে যাওয়ার পর তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্থ করেছিল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা পরিষদ ও কোর্টের আদেশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২১ অক্টোবর সন্ধায় সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদকে খুন করে দলীয় কিছু লোক। পরের দিন তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (কার্যক্রম স্থগিত কমিটির) আবদুল হালিম ও সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর সহ মোট ২২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২২ অক্টোবর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। তদন্ত কার্যক্রম শেষে ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। ৭ জানুয়ারী অন্যান্য আসামীর সাথে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। পরে মামলাটি চলে যায় চট্রগ্রাম দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনালে। জেলহাজতে থাকাবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারী ৪৬.০৪৬.০২৭.০০.০০.৩২৩.২০১২-২১২ নং স্মারকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে রফিক ঠাকুরকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি গত ২৩ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পান। বহিস্কারাদেশ স্থগিত ও দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চে রীট পিটিশন নং-১১৯৩২/২০১৩ দাখিল করেন। ১৭ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শুনানী শেষে তার বহিস্কারাদেশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে কার্য পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।






Shares