হরতালে দফতরে নেই সরাইলের ১৮ কর্মকর্তা
সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সরজমিনে সরাইল উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সরকারি দফতরে ঝুলছে তালা। শুধু তৃতীয় শ্রেণীর কিছু কর্মচারী ঘুরা ফেরা করছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অনেকে দৌঁড়ে গিয়ে বন্ধ দরজা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই নেই দফতরে। কর্মচারী গাজী মিয়া জানান, ইউএনও স্যার হরতালের কারনে আজ বাসায় অফিস করছেন। অফিসে নেই খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম, মৎস কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মজিবুবর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশফাকুল ইসলাম, নির্বচন কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রইছ উদ্দিন মুকুল, সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আইন উদ্দিন, ইন্সট্রাক্টর ইউ আর সি, সাব-রেজিষ্ট্রার মছিউল ইসলাম,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন, একাডেমিক সুপার ভাইজার জগদীশ দাস তালুকদার, আনসার ভি ডি পি কর্মকর্তা আবদুল ওহাব। উপস্থিত কর্মচারীদের সাফ বক্তব্য হরতালের কারনে স্যাররা এখনো আসেননি। পাকশিমুল ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা রিনা বেগম বলেন, পোনে ১০টায় এসেছি। প্রকৌশলী ও পি আই ও কেউই অফিসে নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খাঁন হরতাল প্রসঙ্গে বলেন, রিক্সা কেন ? আকাশে তাকিয়ে আছি পাখি যাচ্ছে কিনা। আজ (গতকাল) বিকেলের সভায় দেখব কোন কোন কর্মকর্তা অফিসে আসেননি। |