প্রতিনিধিঃ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টীর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার হস্তক্ষেপে সরাইলে ৭০ হাজার লোক দুই সপ্তাহ পর স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছে। ১৫ দিন পর শনিবার সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়েছে সড়ক পথ সহ সকল অবরোধ। ফলে নির্বিঘ্নে শুরু হয়েছে দুই ইউনিয়নের মানুষের সড়ক পথের যোগাযোগ। ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক অবস্থা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। পুলিশ সূত্র জানায় অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ মার্চ সকালে কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র কামরুল ইসলাম ও এনামুল হকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষন পর অরুয়াইল ইউনিয়নের ছাত্র জনতা লাঠিসোঠা নিয়ে পাকশিমুল ইউনিয়নের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে কলেজের স্নাতক শ্রেণীর শেষ বর্ষের ছাত্র দুলালসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। ২৬ মার্চ দুলাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মারা যান। ২৭ মার্চ তাঁর পিতা জাহের আলী বাদী হয়ে অরুয়াইল ইউনিয়নের ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০/৪০ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২৩ মার্চের ঘটনার পর থেকে অরুয়াইল ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে পাকশিমুল ইউনিয়নের ৩০ হাজার লোকের অরুয়াইলে যাতায়ত বন্ধ হয়ে যায়। ভৌগলিক কারণে উপজেলা বা জেলা সদরে যাথায়তের জন্য অরুয়াইল ইউনিয়নবাসীকে পাকশিমুল ইউনিয়নের নৌপথ বা সড়ক পথের ওপর নির্ভর করতে হয়। অভিযোগ ওঠে পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ওই ইউনিয়নের লোকজন এই অবরোধের সৃষ্টি করেছিল। ৪০ হাজার মানুষকে অবরোধ থেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় সাংসদ জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা পরভীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শনিবার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে জরুরী বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাংসদ ও প্রশাসনের অনুরোধে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ পাকশিসুল ইউনিয়নবাসী অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মতি দেন। |