সরাইল প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ডিগ্রী কলেজের হিতৈষী প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে কলেজ গর্ভনিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (সরাইল) সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন গত রবিবার এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদেরকে ২৮ মে হাজির হতে বলেছেন। মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হচ্ছেন, সরাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বায়তুল হোসেন খন্দকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহফুজ আলী, সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ঠাকুর, মাজিদ ঠাকুর, রহমত আলী, মো. সিরাজ উদ্দিন, অধ্যাপক শেখ মোখলেছুর রহমান,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক, মাহফুজ মিয়া, সোহেল মিয়া, ইসমত আলী ও সোহেল মিয়া। মামলায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, হিতৈষী পদে ৭জন প্রার্থী থাকা সত্বেও কোনো প্রকার নির্বাচন ছাড়াই সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রভাব খাটিয়ে তার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলীকে হিতৈষী সদস্য করেছেন। মামলায় তারা দাবি করেন সংসদ সদস্য তার ভাই উপজেলার অরুয়াইল উকিল আব্দুস সাত্তার কলেজের শিক্ষক মৃধা আহমেদুল হক কামালকে সরাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদানের জন্যই এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। আজ বুধবার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে সরাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বায়তুল হোসেন খন্দকার বলেন, ‘আমার মতে নির্বাচনের মাধ্যমেই হিতৈষী সদস্য নির্বাচন হওয়া উচিত। কিন্তু যেহেতু একটি কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সেক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিলনা। এছাড়া সংসদ সদস্য সভাপতি থাকলে কলেজ পরিচালনায় তাঁর কথাই প্রাধান্য পায়’। এ ব্যাপারে হিতৈষী সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনিয়ম হয়েছে কিনা জানিনা। তবে আমি আদালতের সমন পেয়েছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেছেন, এম.পির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা শুনেছি। তিনি বলেন কলেজের অধ্যক্ষ পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনিয়মের মাধ্যমে কাউকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হলে আমি তার প্রতিবাদ করব। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ’হিতৈষী সদস্য নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। তবে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। হিতৈষী সদস্য পদে স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পাঁচটি কলেজ পরিদর্শন করে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেই অনুসারেই সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়’। তিনি আরো ‘সকল নিয়ম মেনেই কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আমার ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে কি না তার কি গ্যারান্টি আছে। আর যদি উত্তীর্ণ হয় তাহলে তাকে নিয়োগ দিতে বাঁধা কোথায়? |