Main Menu

সরাইল উপজেলা ডাকঘরের বেহাল দশা

+100%-

প্রতিনিধি॥ সরাইল উপজেলা ডাকঘরের বেহাল দশা। সংস্কার কাজটি তিন মাসে শেষ করার কথা। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ মাসেও শেষ হয়নি। সামান্য কাজ করেই অর্ধেক বিল উত্তোলন করে পালিয়েছে ঠিকাদার। কর্মচারী কর্মকর্তারা অফিস করছেন অতিকষ্টে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তিনবার লিখিত ভাবে জানিয়ে ও কোন সুফল পাননি উপজেলা পোষ্ট মাস্টার। অগোছালো আসবাবপত্র ও ভাঙ্গাছোড়া ভবনে বসে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটছে তাদের। স্থানীয় কর্তৃ পক্ষ বলছে কাজ হয়েছে মাত্র ২৫ ভাগ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ঝরাজীর্ণ  অবস্থায় পড়ে রয়েছে সরাইল উপজেলা ডাকঘরটি। চারিদিকের দেওয়াল ও ছাঁদের প্লাস্তুরা খসে পড়ছে দিন রাত। ভাঙ্গা ও অকার্যকর হয়ে রয়েছে দরজা জানালা। অত্যন্ত কষ্ট ও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ডাকঘরটি পুনঃসংস্কারের জন্য দরপত্র আহব্বান করে কর্তৃপক্ষ। সংস্কার ব্যায় ধরা হয় ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯ টাকা। কাজটি পায় ডাক বিভাগের তালিকাভূক্ত কুমিল্লা দূর্গাপুর উপজেলার মেসার্স উজ্জ্বল ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুসারে ২০১১ সালের ১০ ফেব্র“য়ারী থেকে কাজটি শুরু করে একই বছরের ৩০ জুন শেষ করার কথা। কিন্তু এটা শুধু কাগজে। বাস্তবের চিত্র উল্টো। ইতিমধ্যে নামমাত্র কাজ করে অর্ধেক বিল নিয়ে সটকে পড়েছেন ঠিকাদার। কাজ সমাপ্ত না করেই কোন রকমে পুরো বিল উত্তোলনের পায়তারা করছেন চতুর ঠিকাদার। লম্বা পাকা টেবিলটি ভেঙ্গে ফেলেছেন। নতুন টেবিলের কাজ অর্ধেক করে ফেলে রেখেছেন। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে কাজ করছেন কর্মচারীরা। ছড়িয়ে ছিটিেিয় চারিদিকে এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে পুরাতন আসবাবপত্র। সামান্য কিছু জায়গায় দেয়া হয়েছে প্লাস্তুরা। কোথাও উচুঁ কোথাও নিচু। বিদ্যুতের সার্কুলার বক্স অনেক জায়গায় খোলা। কোথাও বের হয়ে গেছে তার। দরজা জানালা রয়ে গেছে আগের অবস্থায়। দেখতে অনেকটা গরুর ঘরের মত মনে হয়। স্থানীয় ডাকঘরের লোকজন জানান, অল্প কিছু দিন কাজ করেই ঠিকাদারের লোকজন আর আসছেন না। বিশ্রি পরিবেশে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছি। সরাইল উপজেলা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার বাদল চন্দ্র সিংহ রায় বলেন, মাত্র ২৫ ভাগ কাজ করেই ঠিকাদার উধাও। ডি পি এম জি বরাবরে গত ১০.০৮.২০১১ ইং, ২২.০১.২০১২ ইং ও ০৮.০৩.২০১২ ইং পর পর তিন বার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। ঠিকাদারও মুঠোফোনে শুধু আসব আসছি বলছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে মেসার্স উজ্জ্বল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ উজ্জ্বল মিয়া জানান, কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী অবসরে চলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। প্রথমে প্রকৌশলী মতিয়ার হোসেন যে কাজ গুলো দেখিয়েছেন করে ফেলেছি। তিনি চলে যাওয়ার পর সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হক এসে অন্য কাজ দেখাতে শুরু করেন। এতে করে কাজ নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। মাত্র ৩০ ভাগ বিল পেয়েছি। রং ও থাইগ্লাস লাগানোর কাজ বাকী আছে। আগামী ২/১ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে দিব। ডাক বিভাগ চট্রগ্রাম পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল হক বলেন, কাজটি তিন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ঠিকাদার কাজ ছেঁড়ে পালিয়েছে। অনেক আগেই আমাদের তালিকা থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া হয়েছে। কার্যাদেশ বাতিল করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার পক্রিয়া চলছে।






Shares