Main Menu

৪ দিনেও মিলেনি ক্লু ,ময়না হত্যাকান্ডের পেছনে থাকতে পারে পরকীয়ার ঘটনা

[Web-Dorado_Zoom]

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর ময়না হত্যা ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো মিলেনি হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু। ময়নার নির্মম বর্বর হত্যার ঘটনাটি এখন সমগ্র দেশেই আলোচিত। হত্যাকারী শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সরাইল ও ঢাকায় হচ্ছে মানববন্ধন। পুলিশ বিভাগ গতকাল পর্যন্ত ময়নার পিতা-মাতা, চাচাসহ ১০-১১ জনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ২ জনকে প্রথমে আটক ও পরে করেছে গ্রেপ্তার। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চতুর্থ আদালত) সামিউল হক মসজিদের ইমাম মো. হামিদুর রহমানের ৩ দিন ও মুয়াজ্জিন সাইদুল ইসলামের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ১৫১ ধারায় চালানে মো. গাজী, মো. রনি, মো. জসিম ও মো. আকাশ নামের আরও ৪ আসামি রয়েছে জেলখানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের কৌঁসুলি এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু।

পুলিশ বলছে, ওই ৪ জনকে মাদকের মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। হত্যার ঘটনাকে ঘিরে নানা ধরনের তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে ওই গ্রামে। এক ভিডিও বক্তব্যে ময়নার পিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খুনি হয়তো আমার আশপাশেই রয়েছে। শিশু ময়নার কোনো শত্রু নেই। জমি-জমা নিয়ে কোনো বিরোধের বিষয়ও নেই। এমন সব যুক্তি সামনে এনে ময়না হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরকীয়ার বিষয় থাকতে পারে বলে চাউর হচ্ছে ওই গ্রামে। অবশ্য মূল বিষয় উদ্‌ঘাটনে পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার কাজ অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, নিখোঁজের পরদিন ভোরবেলা রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় ময়নার লাশ মিলে হাবলী পাড়ার মসজিদের দ্বিতীয়তলায়। মসজিদের চাবি ছিল ইমাম মুয়াজ্জিনের কাছে। তালাবদ্ধ মসজিদের ভিতরে কীভাবে প্রবেশ করেছে পাষণ্ডরা? পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার মসজিদের ইমাম মো. হামিদুর রহমান ও মোয়াজ্জিন মো. সাইদুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। একইদিন গাজী, রনি, জসিম ও আকাশ নামের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনে মাদকাসক্তের প্রমাণ পেয়ে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে। মসজিদ সংলগ্ন স্থানে রয়েছে ‘আব্দুল মতিন খসরু স্মৃতি পাঠাগার’ নামের একটি পরিত্যক্ত ঘর।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, নিরিবিলি হওয়ায় এই ঘরে একদল ছেলে দিন-রাত মাদক সেবন করতো। আমরা শুনেছি আকাশ নামের এক যুবক ওইদিন ইমামকে মসজিদে তালা দিলে খবর আছে বলে হুমকি দিয়েছিল। এতে ভয় পেয়েছিলেন ইমাম সাহেব। অবশ্য মসজিদে তালা না দেয়ার বিষয়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বক্তব্য এক রকম ছিল না। তবে ঘটনার ৪ দিন পরও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা শনাক্ত না হওয়ায় মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) তপন সরকার বলেন, মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আমরা এখনো ময়না হত্যার ঘটনার কোনো ক্লু বের করতে পারিনি। আমাদের কাজ চলছে।






Shares