Main Menu

সরাইল ড্রাগন বাগানের উদ্যোক্তা সুমন নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের একজন সফল উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান সুমন। তার ‘মেসার্স তিতাস এগো ফার্ম’ নামে একটি ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে। তিনি দুই বছর আগে আরেক জন কে সাথে নিয়ে ৬বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলেছেন ওই ড্রাগন ফলের বাগানটি। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। তার বাগানে রয়েছে ৬ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ, ১৫ শত সিমেন্টের তৈরি পিলার ও ৫ শত টায়ার, প্রতিটি পিলারে ৪ টি করে ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিটি ড্রাগন গাছে বছরে ১৮-২০ বার ফলন হয়। এই পর্যন্ত সে বাগান থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো ফল বিক্রি করেছে। কিছু দিন আগে বাগানে পানি না এলে আরও ফলন বাড়তো, বাগানে লাইটিং করা গেলে ফলন আরও ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদী। ড্রাগন ফলের বাগানের ভিতরে তিনি গরু ছাগলের খামার ও গড়ে তুলেছেন। বাগানের যে ঘাস হয় এগুলো দিয়েই গরু ও ছাগলের খাবার হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৩অক্টোবর) দিবাগত রাতে তার খামারের ভিতর ঢুকে স্থানীয় কয়েক জন বাগানের ফল চুরি করে পেরে নিয়ে যায়। তার অফিস কক্ষেও হানা দেয়া হয়, কাগজ পত্র তছনছ করা হয়, তখন তিনি বাগানে ছিলেন না। বাগানের যে দেখশুন করে সেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাতে তিনি একটা সময় বাগানের দিকে আসলে দেখতে পায় রুপন মিয়া বের হয়ে যাচ্ছেন। মেইন ফটকে তালা আটকানো অবস্থায় ছিল, বাগানের পূর্ব পাশের জালের বেড়া কেটে প্রবেশ করে রুপন ও তার সাথে থাকা অন্যরা । পরে তিনি বাগানে গিয়ে দেখেন ড্রাগন ফলের অনেক পলিথিন মোড়ানো ফল গাছে নাই। পলিথিন নিচে পরে রয়েছে কয়েকটা ফলও নিচে পরে রয়েছে। বর্তমানে তিনি ড্রাগন বাগান করে রয়েছেন শংকায়। সে বাগান ও নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে অনেক পলিথিন নিচে পরে আছে, ফলগুলোও টেনে পারতে গিয়ে গাছের অনেক যায়গায় আটকে রয়েছে। এছাড়া বাগানের পূর্ব পাশের জালের বেড়া কাটা রয়েছে।

হাবিবুর রহমান সুমন বলেন, তার সাথে শেয়ার হোল্ডার ছিল শফিকুল ইসলাম সে তার সাথে এখন আর নেই। ওনার সাথে হিসেবে গোলমাল বাধায় তার শেয়ারের অংশ সম্পুর্ন পরিশোধ করে তাকে বিদায় করা হয়। সুমন একাই এখন ফার্মের মালিক । শফিকুলের ৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হলেও তার কাছে বাগানের কিছু মালামাল রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। যা শফিকুল দিম দিচ্ছি করে তাল বাহানা করছে। এই নিয়ে অনেক সালিশ বসেছে সালিশে সে দিতে রাজি হয়েও দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ মার্চ আমি বাড়িতে যাওয়ার সময় শফিকুল ও তার লোকজন আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে । আমাকে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেয়। পরে আমি সরাইল থানায় রুপন মিয়া মৃধা কে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এইটা এখন আদালতে মামলার প্রক্রিয়াধীন।

এই বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়, এদের মধ্যে নোয়াগাঁও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলি আহাদ বলেন, আমরা সালিশে অনেক বার তাকে মালামাল ফেরত দিতে বলেছি কিন্তু শফিকুল ইসলাম মালামাল ফেরত দেয় না। সে এলাকার সর্দার বা মুরুব্বিদের কথা মানে না। সে মুরুব্বিদের কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।

ছাদেক মিয়া নামের এক জন বলেন, রুপন মিয়া আমার কাছে স্বীকার করে সে বাগানে ঢুকছিল। সাথে পুলিশ নিয়ে, পুলিশ কেন জিজ্ঞেস করলে বলে সুমনের নামে পুলিশ ওয়ারেন্ট আছে।

আবদুল মন্নাফ মৃধা নামে আরেক জন বলেন, শরীফ কে আমি বলেছি মালামাল গুলো ফেরত দিতে সুমনকে, তবুও সুমনকে তার মালামাল ফেরত দেয় নাই। আর আমরা বাগানে গিয়ে দেখছি কয়েকটি ফল পেরে নিয়ে গেছে, ও পূর্ব দিকে জালের বেড়া কাটা, কিছু পলিথিন নিচে পরে আছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে রুপন মিয়া বলেন, আমি পুলিশের সাথে গেছি। সুমনের নামে পুলিশ ওয়ারেন্ট আছে। আর বাগান থেকে ফল পারার বিষয় টা মিথ্যা।
সরাইল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ সিদ্দিক বলেন, সুমনের নামে পুলিশ ওয়ারেন্ট আছে। আর বাগান থেকে ফল পারার কথা মিথ্যা।






Shares