Main Menu

সরাইলে সরকারি জায়গার মাটি দিয়ে তৈরী হচ্ছে ইট

+100%-

Sarail pic 03সরাইল প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি জায়গার মাটি কেটে ইটভাটায় ইট তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটি কাটার যন্ত্র ও একাধিক ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ওই ইটভাটার বৈধ কোনো কাগজপত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও মালিক পুরোদমে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ মৌজার ১০৮৫৩ নম্বর দাগের জায়গাটির (বিল) মালিক সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

গত সোমবার সরেজমিনে জানা যায়, কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষকের নিকট থেকে সরাইল-নাসিরনগন-লখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে (১০৮৫৩ দাগের পাশে) সাড়ে চার একর কৃষিজমি আট বছরের জন্য ভাড়া নেন আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাল গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। ইটভাটার বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই সেখানে তিনি মেসার্স পিবিসি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা চালু করেন। ওই ইটভাটার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের ১০৮৫৩ নম্বর দাগের দুই নম্বর খতিয়ানভুক্ত সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা থেকে কাটি কাটার যন্ত্র ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমির (চার ফুট গভীর করে) মাটি কেটে নিয়েছেন। রোববার বিকেল তিনটার দিকে সড়ক ও জনপথের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম সরেজমিনে মৌখিক বাঁধা দিলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা। এলাকাবাসীর অভিযোগ একটি প্রভাবশালী মহল সরকারি ভূমির মাটি ইটভাটায় নিতে সতায়তা করছেন। এ ছাড়া সেখানে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান কাঠও পোড়ানো হচ্ছে।

কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.তকদির হোসেন ক্ষোভের সাথে বলেন ‘ধর্মতীর্থ মৌজার বিশাল বিল এলাকার সরকারি ভূমি থেকে যে যেভাবে পারছে মাটি কেটে নিচ্ছে। বাঁধাদিলেই ঝগড়া বিবাদের ঘটনা ঘটে, এ জন্য বাঁধা দিই না। ভূমি কার্যালয়ের লোকজন বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’
কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের কৃষক মারাজ মিয়া (৫০) ও কাদের মিয়া (৫৫) বলেন,‘এইডা সরকারি জায়গা, আমরা এখানে এক সময় গরু ছড়াইতাম অহন এখান তেইকা মাটি নিয়ে যাইতেছে। তাদেরকে বাঁধা দিতে কেউ সাহস পাইনা।’
পিবিসি ইটভাটার মালিক মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার সনদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি অচিরেই কাগজপত্র পেয়ে যাব।’ সরকারি জায়গার মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন,‘এটি যে সরকারি জায়গা আমি জানতাম না। তিনি দাবি করেন সওজের লোকজন বলার পর আর মাটি কাটিনি।’ তবে সোমবার সকালেও মাটি কাটতে দেখা গেছে।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মাইনুল আবেদীন বলেন,‘ওই ইটভাটার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটার বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’






Shares