সরাইলে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে আজবপুর গ্রাম



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ের জনপদ আজবপুর। সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা দেখতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানাযায় গত দুই-তিন বছরে ভাঙ্গনের প্রবনতা ক্রমেই বাড়ছে। গত একবছরে নদীতীরবর্তী দুইশত ফুট জায়গা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজবপুর ডকইয়ার্ডের মালিক হাফিজ মোল্লা জানিয়েছেন গত দুইদিনে বেশ কিছু জায়গা ও ডক ইয়ার্ডের দশ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের যন্ত্রপাতি সহ নদীতে বিলীন হয়েগেছে। এই ডক সংলগ্ন সাফি মোল্লার ৩০ শতাংশ জমি এক সপ্তাহের মধ্যে নদীতে মিলে গেছে। একই এলাকার দিরু মিয়ার ৪৫ শতাংশ ও দুলাল মিয়ার ৬০ শতাংশ জমি বিলীন হয়েছে। মায়ের দোয়া ডক ইয়ার্ডের মালিক মজনু মোল্লার ৩০ শতাংশ জায়গা ও জেসমিন ডকইয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গা সহ যন্ত্রপাতি বিলীন হয়েগেছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানায়েছেন।
রবিবার বিকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে সাবেক এম,পি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, বিগত দুই তিন বছরে ভাঙ্গনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এমন অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে ডক ইয়ার্ড ব্যবসা কেন্দ্র ও এ জনপদ অচিরেই নদী বক্ষে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।