সরাইলে আইনশৃঙ্খলা সভায় অটোরিকশা মাদক জুয়া নিয়ে উদ্বেগ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অটোরিকশার সড়ক দখল, মাদক ও জুয়ার ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। সেইসাথে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ মাস সিজার বন্ধ থাকা ও এক বছর ধরে চালকের সমস্যার কারনে এ্যাম্বোলেন্সটি ব্যবহার করতে না পারায় রোগীদের চরম হতাশার কথা ও ওঠে এসেছে।
১৪ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- থানা প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য পেশার লোকজন।
উদ্বেগের সাথে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খরচে নির্মিত দুটি ষ্ট্যান্ড রেখেও সরাইল সদরের বকুলতলা ও শহীদ মিনার এলাকায় যত্রতত্র ভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা গুলো দাঁড়িয়ে থাকে। তারা সড়কের উপর ষ্ট্যান্ড অলিখিত ভাবে ষ্ট্যান্ড তৈরী করে বসে আছেন। ফলে নিয়মিতই এ সড়কে যানজট তৈরী হচ্ছে। শিক্ষার্থী, মুসল্লিসহ সকলেরই দূর্ভোগ বাড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে। আটকে যাচ্ছে রোগী বহনকারী গাড়ি। সিএনজি চালকরা কারো কথাই শুনছেন না। উল্টো তারা পথচারীদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন। গত ৪-৫ বছর ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় বিষয়টি সমধানের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে শতাধিকবার। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি আদৌ। এর পেছনে কি এমন ঐশ্বরিক শক্তি কাজ করছে? উপজেলার সর্বোচ্চ ফোরাম বারবার ফেল করছেন?
আইনি পক্রিয়ায় এর একটা সমাধানের জোর দাবী জানান বক্তারা। কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ঋষিবাড়িতে (চামার বাড়ি) নিয়মিত ২০-৩০ মন ছোলা মদ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এ মদ শুধু সরাইলের বিভিন্ন ইউনিয়ন নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করছে তারা। তাদের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বর্তমান সময়ে ওরস ও মেলার নামে জুয়া ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। জুয়ার ২০ টাকাকে কেন্দ্র শাহবাজপুরে সম্প্রতি সাকিব নামের এক কিশোর খুন হয়েছে। মাদক জুয়া ধ্বংস করছে যুব সমাজকে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ছিচকা চুরি ও গরু চুরি। ইউএনও ও সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরুল হক অটোরিকশা ছোলা মদ ও জুয়ার বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।