সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঈদের দ্বিতীয় দিনে ধর্মতীর্থ হাওর এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা তাও রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম হাজার হাজার দর্শনার্থী। সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল বিজিবি সদর দপ্তরের প্রথম গেইট থেকে শুরু করে ধর্মতীর্থ ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তায় প্রচুর যানযট।
ঈদের ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ভৈরব নরসিংদী থেকে মানুষ ঘুরতে আসে সরাইলের ধর্মতীর্থ ।হাফেজ আলী নেওয়াজ, ইব্রাহিম মৃধা ও জিহাদ আহমেদ নামের তিন বন্ধু মিলে সেখানে প্রথমবারের মতো গড়ে তুলছেন আধুনিক মানের একটি রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট। তিন বন্ধু মিলে গড়ে তুলেছেন ওই রিসোর্টটি।
এখানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কোথাও বসার তেমন কোন ব্যাবস্থা না থাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি থ্রীস্টার রিসোর্ট। যদিও সম্পূর্ণ কাজ এখনো শেষ হয় নি বলে জানিয়েছে রিসোর্ট এর মালিক।
সোমবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচে পড়া ভীড়। রিসোর্টের সামনে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা জানান তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়ের কারণে। তারা এখানে প্রবেশ মূল্য ধরেছেন ২০ টাকা, সন্ধ্যা পর্যন্ত রিসোর্ট টিতে দর্শনার্থী প্রায় দশ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানায় মালিক পক্ষের একজন জিহাদ।রিসোর্টের কর্মচারীরা জানায়, তারা আজকে ক্রেতাদের খাবার দিয়ে তারা কুলাতে পারছেন না। আজকে খাবার প্রায় শেষ, তারা যা ধারণা করছিলেন এর বাইরে বিক্রি হয়েছে।রিসোর্টিতে এক সংগে ১২৮ জন বসতে পারেন।
এখানে খাবারের তালিকায় রয়েছে দেশীয় নাস্তা, বাংলা-চাইনিজ খাবার, অ্যারাবিয়ান হেফসাসহ ভিন্ন স্বাদের খাবার। নামাজের জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা। রাতের আলোক সজ্জায় পাল্টে দেয় গোটা সড়কের চিত্র।
দর্শনার্থীরাও খুশি এমন একটি রিসোর্ট করায়। অনেকেই বলছিলেন এমন আরো কয়েকটি এই ধরনের রিসোর্ট করলে দর্শনার্থী আরো বাড়বে।
ছোট এক শিশু তাসফিয়া তার বাবার সাথে ঘুরতে আসেন মিনি কক্সবাজার এলাকায়। সে এখানে ঘুরতে এসে খুব খুশি।
স্থানীয় অনেকেই বলছিলেন, তারা এখানে ঘুরতে এসে খুব ভালো লাগছে তাদের কাছে। তারা এখানে এমন আরো অনেক রিসোর্ট হবে বলে তারা আশা করছেন।