Main Menu

শ্বশুরের বিরুদ্ধে জামাই সমর্থকের আচারণ বিধি লংঘনের অভিযোগ

+100%-

ষ্টাফ রির্পোটার ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংহ  প্রতীকের জিয়াউল হক মৃধার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও জিয়াউল হক মহজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা করে আচরণবিধি লংঘন করছেন বলে মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ কাজী সফিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেছেন জাতীয় যুব সংহতি সরাইল সদর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। এ অভিযোগ নির্বাচনী তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ কাজী সফিকুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসনটিতে প্রথমে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান দলটির চেয়ারম্যানের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া টিপু। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা এম.পি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে জাতীয় পার্টি থেকে জিয়াউল হককে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হলেও গ্রহন করেননি রিটানিং অফিসার। আদালতে গিয়ে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক বরাদ্দ পান। তবে জিয়াউল হক ও রেজাউল ইসলাম নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণাতে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করছেন।
জিয়াউল হক মৃধা ও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সম্পর্কে শ্বশুর জামাই। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাই রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া তাঁর নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আমার প্রতীক লাঙ্গল। আর লাঙ্গলই মহাজোটের প্রতীক। তাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী সিংহ প্রতীকে জিয়াউল হক মৃধা মহাজোটের প্রার্থী হতে পারেন না। তিনি বেআইনি ভাবে সিংহকে মহাজোটের প্রতীক ও প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অভিযোগ দায়ের করা যুব সংহতি নেতা ও রেজাউল ইসলামের সমর্থক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউল হক নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। যে কারণে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত কমিটি  অভিযোগটি গ্রহন করেছেন।’
অভিযোগকারীর আইনজীবি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু জানান, জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও মহাজোট প্রার্থী হিসেবে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। রেজাউল ইসলাম ভূইয়া লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন উনিই মহাজোটের প্রার্থী।






Shares