সরাইলে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে হামলা করে ছিনিয়ে নিয়ে গেল যুবলীগ নেতাকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে গাজী বোরহান উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে। গাজী বোরহান উদ্দিন অরুয়াইল যুবলীগের আহবায়ক পদে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর একাধিক মামলার আসামী হন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক গাজী বোরহান উদ্দিন। মামলার আসামী হলেও তিনি ছিলেন অনেক প্রকাশ্যেই। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বোরহানকে গ্রেফতার করে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতারের পর তাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসলে সেখানে জড়ো হন বোরহানের ভাই গাজী গিয়াস উদ্দিন সহ তাদের গোষ্ঠীর অন্তত দেড় থেকে দুইশো লোকজন। তাকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। পরে পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজী বোরহান উদ্দিনকে নিয়ে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে করে সরাইল থানার উদ্দেশ্যে ছাড়ার পর পর হামলা করা হয়। এসময় ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যুবলীগ নেতা বোরহানকে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এই বিষয়ে বলেন, পুলিশ গাজী বোরহানকে গ্রেফতার করলো, পরবর্তীতে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে তাদের কাছ থেকে কিভাবে নিয়ে গেল তারাই ভাল বলতে পারবেন। যেহেতু ইতিমধ্যে অনেক লোক পুলিশ ক্যাম্পে এসেছে, সে অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। এমন কি তার হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল না।
এই বিষয়ে জানতে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক টিপু সুলতানের নাম্বারে কল দিলে জানান, ‘বোরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ বোরহান উদ্দিন পুলিশ হেফাজতে আছে কিনা? এই প্রশ্ন শুনে তিনি মুঠোফোনে লাইন কেটে দেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তার ১৪ গোষ্ঠীকে খুঁজতেছি, সে তো আর একা ছিলনা, তার সাথে শ-দুইশজন লোক ছিল। পুলিশের কেউ এ ঘটনায় আহত হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযানে বাইরে আছি, এটা এখনও বলার সময় হয়নি।































