ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট; ভোগান্তি
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড (কুট্টাপাড়া মোড়) হয়ে শাহবাজপুর পর্যন্ত এ যানজট দেখা গেছে।
এতে মহাসড়কে কয়েক হাজার যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে রয়েছে। ফলে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা গেছে, মহাসড়ক ফোরলেন করা হচ্ছে। এ নির্মাণ কাজের কারণে সড়ক সরু হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এ দুটি মোড়ের দুর্বল ব্যবস্থাপনাও ভয়াবহ যানজটের অন্যতম কারণ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প ছয় বছর ধরে চলছে। এক পাশের কাজ শেষ হলেও পুরোপুরি চালু হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সরু একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল করছে।
যাত্রী ও চালকরা জানান, টানা বৃষ্টিতে সড়কে গর্ত তৈরি হয়েছে, যানবাহন আটকে যাচ্ছে এবং এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে শুধু সময় নয়, যানবাহনের যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
ট্রাকচালক জাকির হোসেন বলেন, সিলেট থেকে গভীররাতে পণ্য নিয়ে রওনা দিয়েছি। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে যানজটে পড়েছি। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
বাসযাত্রী লোকমান মিয়া বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছি শ্রমিকের কাজে যোগ দিতে। কিন্তু যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
অপর যাত্রী সোহেল বলেন, পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছি বিয়ের দাওয়াতে। মনে হচ্ছে যানজটের কারণে বিয়েতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
সরাইল খাঁটিহাটা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ে তিন ফুটের বেশি গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। একটি ট্রাককে একটি মোড় অতিক্রম করতে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগছে। এতে যানজট অনিবার্য হয়ে পড়েছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।































