ইউপি নির্বাচন:: সরাইলে পুলিশের অভিযান – যুবলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-২
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল :: আগামী ২৩ এপ্রিল সরাইলের ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন। নির্বাচনের পূর্বেই শুরু হয়েছে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। গত শুক্রবার গভীর রাতে সরাইল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন হচ্ছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আরেকজন বিএনপি’র কর্মী। কি কারনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না এস আই শফিকুল ইসলাম। কারন জানা নেই গ্রেপ্তারকৃতদেরও।
পুলিশ জানায়, নির্বাচনী অভিযান। তাই শুক্রবার গভীর রাতে চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর গ্রামের হাজী উসমান গণির ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কবির মিয়া (২৮) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই রাতে সরাইল সদর ইউনিয়নের আরিফাইল গ্রামের বিএনপি’র কর্মী শওকত আলী (৫৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাত ১টা ২৪ মিনিটে এস আই শফিকুর রহমানের মুঠোফোনে কবির গ্রেপ্তারের কারন জানতে চাইলে বলেন, ভাই এখন ঝামেলায় আছি। পরে জানাব।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ- তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা নেই। হঠাৎ করে তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হল? আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। গতকাল সকালে এস আই শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। ওসি স্যার বলেছে। আমি গ্রেপ্তার করেছি। কারন স্যারে বলতে পারবেন। বুঝতে পারছেন ভাই।
চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক হওয়ায় আমাদের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কবিরকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক আচরন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। চুন্টা ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান কবির। বাজারের পাহারাদার ও যুবলীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী। শুধু আমাকে সমর্থন করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। ওইরাতে আমার আরো অনেক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হুমকি দিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেখাতে পারেনি পুলিশ। এটা সাজানো নাটক।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ রুপক কুমার সাহা বলেন, এন্টি ইলেকশন এক্টিভিটিজের অপরাধে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।