সরাইলে কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বিপাকে কৃষক
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মলাইশ- শাহজাদাপুর রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচি (কাবিটা) প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
কাজ না করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক মিয়া ও বিএনপি নেতা শেখ মো. মিলন ।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম এর কাছে কাজের অনিয়মের বিষয় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মলাইশ- শাহজাদাপুর রাস্তা পূর্ণ নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট কাজে ৮ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস ছাত্তার। এর মধ্যে প্রকল্পের সভাপতি ৩নং ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা মো. মিলন মিয়া মাটি ভরাট না করে নামে মাত্র একটি স্কেবেটার মেশিন দিয়ে সামান্য মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ নামে টাকা আত্মসাত করেছেন।
কাজ শুরুর সাথে সাথে প্র্রকল্পের ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয় তারা । বর্তমানে কাজ বন্ধ রেখে বাকী টাকা উঠানোর চেষ্টা চালায় । উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন নেতা দিয়ে ফোন করে বিলের বাকী টাকা পরিষোদ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এদিকে রাস্তা সঠিক ভাবে সংস্কার না করার কারণে এ এলাকার প্রায় ৫০ বিঘা জমির কৃষকের ফসল নষ্ট হওয়ার পথে । জমির পানি সরবরাহ বন্ধ করে রাস্তায় মাটিয় ফেলা হয়। এতে কৃষক বিপাকে পড়েছে। রাস্তায় স্কেবেটার দিয়ে এলোমেলো ভাবে নামে মাত্র মাটি ভরাট করে । রাস্তা দিয়ে অটোরিক্সা, ভ্যানও মোটরসাইল ছাড়া অন্য কোন ভারি যানবহন ওই রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করতে পারছেনা।
কাজ না করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামকে মোঠফোনের মাধ্যমে জানায়।
এবিষয়ে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা শেখ মিলন মিয়া বলেন , আমাদের কাজ এখনো বাকী রয়েছে টাকা পাওয়ার পর বাকী কাজ সর্ম্পুন করিব ।
এ বিষয়ে প্রকপ্লের সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া জানান, আমাদের কাজ সর্ম্পুণ হয়েছে । উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা আমাদের বিলের বাকী টাকা পরিশোধ করছেন না । কৃষকের ফসলি জমির ড্রেইন বন্ধের বিষয় বলেন কিছুদিন পরে আমি ড্রেইনের বাকী কাজ করে দেব।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করে কাজের গড়মিল রয়েছে বলে জানান। আমি প্রকল্প সভাপতি মোঃ ফারুক মেম্বারকে একাদিক বার বলেছি সঠিক ভাবে কাজ দ্রুত সামাধা করা জন্য। সে বাকী কাজ না করে একাদিক বিএনপির নেতা দিয়ে ফোন করে আমাকে টাকা পরিষোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।