Main Menu

মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে সরাইলের পানিশ্বরে বেড়িবাঁধের দাবি

[Web-Dorado_Zoom]

সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হতে যাচ্ছে শত শত পরিবার। ঘুম নেই, শান্তি নেই, কখন ভেঙে নেয় বাড়িঘর, দিশেহারা আর দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকার জনগোষ্ঠী। মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাটি। মেঘনা নদীর তীরে বিশাল ভাঙনে জনমনে আতঙ্ক বিরাজসহ মানসিক চাপে আছে এলাকাবাসী। নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি করে আসছে বোদ্ধা মহল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, শাখাইতি ও লায়ার হাটি গ্রামের ঘরবাড়ি, মসজিদ ও চাতালকল সহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীভাঙনের কবলে ঝুঁকিতে থাকায় কয়েকশত পরিবার মহাসংকটে দিনযাপন করছেন। শাখাইতি গ্রামের ওসমান গণি ও পালপাড়ার বাসিন্দা সুধীর পাল, উষারানী পাল, গীতারানীরপাল ও পুষ্পরানী পাল, শিপ্রা জানান, আমরা ছোটোবেলা থেকে দেখে আসছি প্রতিবছর মেঘনা নদীর পানির ঢেউয়ে ভেঙে যাওয়া ৪টি গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। তারা ইনকিলাবকে আরও বলেন, বাবা আমাদের কেউ নাই, বাড়িঘর ভেঙে গেলে কে আমাদের জায়গা দেবে? মাঝে মধ্যে বড় বড় স্যাররা দেখতে আসে,অনেক আশা দিয়ে যায়, আশায় আশায় আমরা দিন কাটাই।

মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ তৈরি এই এলাকার ভুক্তভোগীদের দীর্ঘ দিনের দাবি। দাবি পূরণ না হলে আগামী কয়েক বছরে এই এলাকার অস্থিস্ত থাকবে না বলে ভুক্তভোগীদের ধারণা। যেকোনো সময় নদীভাঙন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রাম/পাড়াগুলোর বাড়ি-ঘর সহ বাকি অংশটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এ ব্যপারে পানিশ্বর ইউপিচেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মিস্টার বলেন, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, শাখাইতি, শোলাবাড়ি, দেওবাড়িয়া গ্রামের হাজারো পরিবার নদী ভাঙনের কবলে। ৪টি গ্রাম হুমকির মুখে। এই এলাকায় অর্ধশত চাতালমিল রয়েছে। বিগত দিনে প্রায় ২০টি চাতালকল ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরাইল শাখার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মহসিন কবির শিহাব বলেন, মেঘনা নদী ভাঙন রোধে সরাইল পানিশ্বর এলাকায় স্থায়ী ভাবে মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্পের আবেদন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য কিছু জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, পানিশ্বর এলাকার নদী ভাঙন সরেজমিনে দেখেছি। স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য জিও ব্যাগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে এবং পানিশ্বর এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব






Shares