রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন আইভি রহমান –বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির আওতায় গতকাল ২৪ আগস্ট, সোমবার বিকাল ৪টায় জেলা মহিলা লীগের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইভী রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন পৌর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তা ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, ১৫ আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা জঙ্গিবাদী পাকিস্তানপন্তি দেশ তৈরী করতে চেয়েছিল। তাদের সে আশা ধুলিসাৎ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরলে, তাকেও হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বহীন করে ধংস করতে চেয়েছিল দেশবিরোধীরা। ২১ আগস্ট এই ন্যক্কারজনক গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান গুরুতরভাবে আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বলেন, রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন আইভি রহমান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।