নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষ:: সাদেকপুর ইউনিয়নে বিরামপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত:: ৩ জন আটক



ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নে বিরামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য (মেম্বার) মো. মোক্তার হোসেন ও পরাজিত সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রহিমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরেই সকালে বিরামপুর বাজারে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুরের দিকে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুর রহমান জানান, বিরামপুর গ্রামের খালপাড় হাটি ও নতুন বাজার এলাকার তাজউদ্দিন গোষ্ঠী ও খাঁ বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। আজ সকালে দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ১৫ জন আহত হয়। এ সময় পাঁচ-ছয়টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইশতিয়াক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।