Main Menu

৩০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ॥ নেতা-কর্মীরা টেনশনে

+100%-

দীর্ঘ ১০ বছর পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। স্থানীয় জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুছ মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী জননেতা তোফায়েল আহমেদ এম.পি। উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলনকে সুন্দর ও সার্থক ভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

সম্মেলনকে সফল করার জন্য ইতিমধ্যেই পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিনকে আহবায়ক করে অভ্যর্থনা উপ কমিটি, মোঃ হেলাল উদ্দিনকে আহবায়ক করে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি, মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে আহবায়ক করে খাদ্য ও শৃঙ্খলা উপকমিটি, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনকে আহবায়ক করে দপ্তর উপকমিটি, শাহআলম সরকারকে আহবায়ক করে সাংস্কৃতিক উপকমিটি গঠন করা হয়। এদিকে সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়ছে পদপ্রত্যাশী নেতা ও কর্মীদের টেনশন। সর্বত্র শুরু হয়েছে জল্পনা- কল্পনা কারা আসছেন নেতৃত্বে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কারা হচ্ছেন এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে নানা কথা আলোচনা হচ্ছে।

দলের সিনিয়র নেতারা এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও তারা বলছেন সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন, শিক্ষিত, স্মার্ট, দলের প্রতি অনুগত ও ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। দলের ত্যাগী নেতা এবং নবীন – প্রবীনের সমন্বয়ে দলের অন্যান্য পদগুলো পূরণ করা হবে। দলীয় নেতারা বলছেন সম্মেলনে যে কমিটি করা হবে তা দলের সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তবুও নেতাকর্মীদের মধ্যে কৌতুহল কারা হচ্ছেন দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। দলের কয়েকজন প্রভাবশালী ও শীর্ষ নেতা এবং দলের একাধিক সমর্থকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আকাঙ্খা সভাপতি পদে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি দায়িত্ব গ্রহণ করুক।

তাদের মতে তিনি হলেন, যোগ্য নেতা এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এদিকে দলের অপর একটি অংশের নেতাকর্মীদের আকাঙ্খা সভাপতি পদে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিনের সমর্থনে পৌর এলাকা সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ বিলবোর্ড টানানো হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে দলের নেতাকর্মীদের পছন্দ সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিমধ্যেই নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমানুল হক সেন্টু। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মোঃ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন এর নাম আলোচনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ২৯ মে জেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ২ বছর পর ২০০৬ সালে অ্যাডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চুকে সভাপতি এবং অ্যাডঃ হুমায়ুন কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদিত হয়। ইতিমধ্যেই কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চু, সহ- সভাপতি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন জীবন মিয়া, আলহাজ্ব এ. বি. ছিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক (পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) মেজর (অবঃ) জহিরুল হক খান বীর প্রতীক, জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সাবেক এম.পি দিলারা হারুন, জাতীয় পরিষদ সদস্য শেখ কুতুব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার খান, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা অ্যাডঃ আব্দুস সামাদ ও মোঃ সামসু উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হুমায়ূন কবীর।

বর্তমানে অ্যাডঃ সৈয়দ এ. কে. এম. এমদাদুল বারী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং আল মামুন সরকার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।






Shares