Main Menu

“জেলা পুলিশের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ অফিসার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ”

+100%-

 

 

“আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ ও লালন করি”

গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪খ্রিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন ড্রিল সেডে অত্র জেলার ৩০ জন কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ অফিসার এবং ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) এর সভাপতিত্বে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মাননীয় সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এবং সভাপতি, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। জেলা পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবারের মত এবারও সমাজের অন্যান্য শ্রেণী, পেশার মানুষের মত স্বাধীনতার ৪৩তম বিজয় উল্লাস ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের পূর্বে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ অফিসার এবং বর্তমানে কর্মরত পুলিশ সদস্যগণের সাথে অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন। প্রীতিভোজ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এ্যাডভোকেট সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারী, প্রশাসক জেলা পরিষদ ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ এবং জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন, মেয়র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ হাছিনা আক্তার, সিভিল সার্জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জনাব হারুন অর রশীদ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ আল-মামুন সরকার, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ, ডাঃ আবু সাঈদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেবা ক্লিনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ আমানুল হক সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ, জনাব সৈয়দ মিজানুর রেজা, সভাপতি, প্রেসক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এ্যাডভোকেট তাফসিরুল, এ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান(১)সহ আরো অনেকে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ শাহ আলম বকাউল, সিনিয়র এএসপি, সদর সার্কেল,জনাব মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, সিনিয়র এএসপি, ডিএসবিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালন ও পরিচালনা করেন জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম,সিনিয়র এএসপি (সদর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ পুলিশ একই সুতোয় গাঁথা। বাংলাদেশ পুলিশই সর্বপ্রথম রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ হন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যগণ। পুলিশ বাংলাদেশের যেকোন সংকটময় মূহুর্তে জনগণের পাশে দাঁড়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর ধারাবাহিক এই বিরল ভূমিকার জন্য তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাগণ সম্মানিতবোধ করেন এবং অনেকে আবেগতাড়িত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশে তারা জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনেকে তাদের বিগত জীবনের নষ্টালজিয়ায় ফিরে যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের প্রতিটিক্ষণের কথা স্মৃতিচারণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার, জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানিত করতে পেরে জেলা পুলিশ গৌরবান্বিত বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য সকল অভ্যাগত অতিথিদেরকে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে অভিনন্দন জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য আত্মহুতি দানকারী সকল পুলিশ সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তি






Shares