Main Menu

প্রভাব কাঠিয়ে সুহিলপুর গরুর বাজার নেওয়ার চেষ্টা

+100%-

আজম রাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ॥ বুধবার দুপুর বারটা পর্যন্ত ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অন্যতম সুহিল পুর গরুর বাজার ও তোহা বাজার ইজারা ডাকের দিন। নিয়ম মোতাবেক দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সিডিউল জমা দেওয়ার শেষ সময়। ঐ সময় মোঃ নাজমুল হোসাইন নামের এক ইজারাদার ও তার লোকজন সকাল ১১.৪০ ঘটিকার সময় তার সিডিউলটি জমা দিতে গেলে দণি সুহিলপুরের সিডিউল জমাকারীদের ইশারায় তাদের নিজস্ব কিছু লোক ও ভাড়াটিয়া অচেনা কিছু বাধাদান কারী লোক নাজমুল হোসাইন-পিতা মোঃ ইউসুফ আলী,ঠিকানা-উত্তর সুহিলপুর,উপজেলা+জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অভিযোগ কারী সেলিম মিয়া জানান,তাদের কে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের প্রবেশ কালে বাধা প্রদান করে সিডিউলের খামটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, যাতে যথা সময় সিডিউলটি জমা না দিতে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, নাজমুল হোসাইনের সিডিউলের খামটি অনেকটা টানা হেছরা করতে গিয়ে ছিড়ে যায়। এই ঘটনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আশরাফুল আলম পাশের হল রুমে এক জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এই ঘটনাটি তাৎনিক নাজমুল হোসাইন ও তার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করান। তিনি তাদেরকে ধৈর্য সহকারে অপো করতে বলেন। ঘটনার সাথে সাথেই স্থানীয় সাংবাদিকেরা এসে জড়ো হয়। দেখা যায় দণি সুহিল পুরের লোকজন তাদের সাথে এলাকার অনেক প্রভাবশালী লোক হাজির রেখেছ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক।ে অথচ তাদের নামে কোন সিডিউল জমা পড়ে নাই ইজারাদার নাজমুল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ডাঃ নয়ন মণি, রশীদ ভুইয়া, আক্তার খাঁ, দুলাল খাঁনসহ অনেক লোকজন রেখেছেন, তার ধারণা এইসব লোকদের ইশারাতেই এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হয়। যদি তাই না হয় তাহলে আমরা এবং তারা একই এলাকার বাসিন্দা তাদের সিডিউল জমা দিতে কেউ বাধা দিল না অথচ আমাদের সময় তাদের লোকজনেরাসহ ভাড়াটিয়ারা আমাদের লোকজনকে আটক করে সিডিউল কাগজটি ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে কিšু— তারা বসে বসে তামাশা দেখেছে। তাদের উভয় সিডিউলটি তারা মিলিত ভাবে জমা দেন দুই নামে। অনুসন্ধান থেকে আরও জানা যায়. যে একটা সিডিউল জমা পরলে একক ভাবে হয়ে যায় যার কারণে দণি সুহিলপুরের লোকেরাই নিজেরা ভাগ ভাটুয়ারা করে একটি সিডিউল-৬,৫০.০০০(ছয় লপঞ্চাশ হাজার) অন্যটি হল একই দলের জাহাঙ্গীর কবীর দাম দিয়েছেন-২৬,১০,০০০(চাবিবশ লাখ দশ হাজার)। কিšু— অপর দরদাতা নাজমুল হোসাইন দিয়েছেন-৩০,৬০,০০০(ত্রিশ লাখ ষাট হাজার) টাকা। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের সমস্যার কথা শুনে একটি দরখাস্ত লিখে তাদের সিডউলটি জমা দিতে বলেন। পর তারা দরখাস্ত সহ সিডিউলটি জমাদেন। কিšু— এতেও সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে মনে হয়না। কারণ জমা দেওয়ার সাথে সাথেই দণি সুহিলপুরের লোকেরা বলে দেন এখন ২টার বেশী বাজে এইটা গ্রহণযাগ্য হবেনা। অথচ সবচেয়ে বড় দরদাতা ছিল নাজমুল হোসাইন। যদি এই সিডিউলটি গ্রহণযাগ্য না হয় তাহলে নতুন করে আবার সিডিউল জমা দেওায়ার সুযোগ দেওয়া হলে সরকারের অনেক টাকা লাভ হবে। সরকারের দিক বিবেচনা করে চেহারা না দেখে সঠিক উ”” দরদাতাকে সুহিলপুর গরুর বাজারটি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যত আর এই সিন্ডিকেট বাহিনীর নিকট জিম্মি থাকবে না সুহিলপুর গরুর বাজারের ক্রেতাবিক্রাতা ও সাধারণ লোকজন। পশুর উপরও হবেনা আর অমানবিক নিযার্তন জনে রাখা দরকার যে সুহিলপুর গরুর বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবারে হাটের দিন ভোর থেকেই ইজারাদারদের যোগ সাজসেই গরু, মহিষ ও ছাগলের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। মোটা  পাষ্টিকের পাইপ জোর করে মুখে মহিষর গলা দিয়ে ডুকিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি ডুকিয়ে এদের মোটা করা হয় উ”” মুল্য পাওয়ার আশায়। ঠিক ছাগলের বেলাও করা হয় এই নির্যাতন। ইজারাদারদের জন্য কেউ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না।






Shares