নতুন গ্যাস সংযোগের আবেদন শুরু
প্রতিবেদক ::মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে গ্রাহকদের নতুন গ্যাস সংযোগের আবেদন। এছাড়াও চলতি মাসের মধ্যেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে বৈঠক করেছে পেট্রোবাংলা। মঙ্গলবার থেকে নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করতে পারবে গ্রাহকরা। যেসব এলাকায় বিতরণ লাইন আছে, শুধু সেসব এলাকায় এ সংযোগ দেয়া হবে। নতুন করে কোনো এলাকায় সরবরাহ লাইন করা হবে না। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গ্যাস সংযোগ যতদিন বন্ধ ছিল, ততদিনে অনেকে অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন। অনেকে গ্যাসের চাহিদা ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে নিয়েছেন। ৩০ মে’র মধ্যে এসব অবৈধ গ্রাহকদের তথ্য আঞ্চলিক গ্যাস সরবরাহ কার্যালয়ে নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে জানাতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যারা তথ্য নিজ উদ্যোগে দেবেন না, তাদের আর পরবর্তী সময়ে সুযোগ দেয়া হবে না।” শর্তসাপেক্ষে অবৈধ গ্রাহকের সংযোগ বৈধ করে দেয়া হবে। নতুন সংযোগের জন্য আবেদন নেয়া এবং অবৈধ সংযোগকে বৈধ করার কাজ একসঙ্গে চলতে থাকবে বলে জানান তিনি। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, প্রথমপর্যায়ে যারা ডিমান্ড নোটের (চাহিদাপত্র) টাকা জমা দিয়েছেন তাদের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও গ্যাস সংযোগের আওতায় আনা হবে। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাঁচটি বিতরণ কোম্পানির কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৬টি নতুন সংযোগের জন্য আবেদন জমা আছে। এর মধ্যে আবাসিকের জন্য জমা আছে ১ লাখ ১০ হাজার ২৫২টি। বর্তমানে গ্যাসের মোট গ্রাহক আছে ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৯টি। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৩টি। এদিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও প্রতিনিয়ত এ কাজ করেছে প্রায় সব বিতরণ কোম্পানি। শুধু ২০১২-১৩ অর্থবছরেই এ ধরনের ১০ হাজার ৬৮৮টি সংযোগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৫৯১টি। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে সংযোগ দেয়া হয়েছিল ১৩ হাজার ১৪৫টি। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ১২ হাজার ৯৭৯। এছাড়া, আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ বন্ধ ঘোষণার সময় আবেদনকারী ছিলেন প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার। এর মধ্যে ৫৭ হাজার ৪১৪টি নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। ওই গ্রাহকরা ব্যাংকে নিয়মিত বিলও জমা দিচ্ছেন। কিন্তু সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে না। প্রায় ৩ বছর পর গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির পর এবিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। |