টর্ণেডোয় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, চলছে সরকারী বেসরকারী ত্রাণ তৎপরতা
উল্লেখ্য গত ২২ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্ণেডোর ছোবলে সদর উপজেলার রামরাইল, উড়শিউড়া, জারুলতলা, ভাতশালা, পাতিরহাতা, পাইকপাড়া, চিনাইর, চান্দি, সোহাতা, বাসুদেব, খেওয়াই, বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল ও আখাউড়ার আমোদাবাদসহ ১৫ গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। টর্ণেডোতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫শতাধিক মানুষ। টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে কয়েক হাজার কাঁচাঘর, নিহত হয় আড়াইশতাধিক গবাদী পশু। টর্ণেডোর পর থেকে সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাপক ত্রান তৎপরতা চলছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার জারুলতলা,চিনাইর, আখাউড়ার আমোদাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে তিন কেজি করে চাল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি আলু বিলি করছে জেলা পুলিশ বিভাগ। পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম কলেন, মোট দেড়হাজার পরিবারকে এই ত্রানের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া হতদরিদ্রদের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আখাউড়ার উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া স্বপন বলেন, তার পরিবারের পক্ষে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেওয়া হবে। শুক্রবার আখাউড়ার আমোদাবাদে চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের নেতৃত্বে ডিসেন্ট হোল্ডিং লিমিটেড নগদ টাকা ও খাবার বিতরণ করবেন। জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, মিচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ত্রান তহবিলে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন। |