Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপূর্ত বিভাগের ৫০ কোটি টাকার গোডাউন দখল-শহরে চাঞ্চল্য

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপূর্ত বিভাগের ৫০ কোটি টাকার গোডাউন দখল করে নিয়েছে জেলা ট্রাক মালিক সমিতি ॥
নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডায় গণপূর্ত বিভাগের প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ভূমির গোডাউন এলাকা দখল করে নিয়েছে জেলা ট্রাক মালিক সমিতি। দখলকারীরা সেই জায়গায় জেলা ট্রাক টার্মিনালের সাইনবোর্ড টানিয়েছে। এ ঘটনায় শহরের ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জয়নাল আবেদীন ও  জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা গত ৮ এপ্রিল ওই গোডাউন কম্পাউন্ডের প্রধান গেইটের তালা ভেঙ্গে অবৈধভাবে সেখানে ট্রাক ঢুকিয়ে এটি দখল করে নেন।এদিকে ট্রাক মালিক সমিতির অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং দখলদারদের দখল থেকে গোডাউনকে দখল মুক্ত করতে  মামলা গ্রহনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহম্মেদ আল মামুন সরকার গত ৯ এপ্রিল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন মেড্ডা গোডাউনের ৭টি ভবনে কয়েক কোটি টাকার নির্মান সামগ্রী রয়েছে। গোডাউনের মালামালের নিরাপত্তার জন্য গনপূর্ত বিভাগের মফিজুর রহমান ও আল-আমিন নামক দু’জন প্রহরী থাকলেও অবৈধভাবে ট্রাক প্রবেশের ফলে গোডাউনের মালামালের নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাহারাদারেরা আতংকগ্রস্থ রয়েছে। অভিযোগ আছে রাতের বেলায় ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় গোডাউন এলাকায় অবস্থানের কারণে গোডাউনের ভেতরে স্টাফ কোয়াটারের মহিলারাও রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীন ও গভীর উদ্বিগ্ন অবস্থায়। সরকারি গোডাউন দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি ট্রাক মালিক সমিতির লোকজন। তারা ইতিমধ্যেই গোডাউন এলাকার বিভিন্ন স্থানে জেলা ট্রাক টার্মিনালের সাইনবোর্ড লিখেছে।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা সরকারী জায়গা দখল করিনি। প্রশাসনের বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে এখানে অস্থায়ীভাবে ট্রাক রাখা হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে জায়গাটি আমাদেরকে ট্রাক টার্মিনালের জন্য স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেবেন। তিনি আরও বলেন, গোডাউনে মালামাল আছে কিনা তা আমরা জানি না। তবে আমরা নিজ দায়িত্বেই গোডাউন  পাহাড়া দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাজ মোঃ ইয়াছিন বলেন, মোঃ হেলাল উদ্দিন শুধু জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদকই নন তিনি জেলা আওয়ামীলীগেরও সাংগঠনিক সম্পাদক। তার এই কর্মকান্ডে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রব গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহম্মেদ আল মামুন সরকারের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ট্রাক মালিক সমিতি এখানে ট্রাক রাখার ব্যবস্থা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা কোন জমি দখলের ঘটনা নয়। রাস্তার উপর ট্রাক রাখার ফলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় এবং এই জায়গাটি খালি থাকায় স্থানীয় এম.পি মহোদয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্তমোতাবেক এখানে সাময়িকভাবে ট্রাক রাখার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে ট্রাক মালিক সমিতির লিখা “জেলা ট্রাক টার্মিনালের সাইনবোর্ডগুলো মুছে ফেলতে আমি সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন সাহেবকে বলেছি।{jcomments on}






Shares