৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হালিমা হত্যার রহস্য উদঘাটন
মরদেহ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু হালিমা আক্তার (৩) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। হালিমার মা খাদিজা বেগম কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাচা হেলাল মিয়া শিশুটিকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘর থেকে তিন বছর বয়সী শিশু হালিমার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন সদর মডেল থানায়। পুলিশের অনুসন্ধানে একপর্যায়ে একই বাড়ির হালিমার চাচা হেলাল মিয়াকে আটক করা হয়।
আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন পুলিশকে হেলাল। হেলাল দীর্ঘদিন আগে হালিমার মা খাদিজা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মাস আগে তিনি ভাতিজি হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা হিসেবে সে তার সহযোগী রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে ৪/৫ দিন আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। ঘটনার দিন (২ ফেব্রুয়ারি) হালিমাকে কোলে করে হেলাল বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হালিমাকে এক প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়ে বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বহুতল ভবনের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলাল। আর এ হত্যাকাণ্ডের সময় রুবেল পাহারা দিয়েছিল। এ ঘটনায় রোববার রাতে রুবেলকেও তার বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাদুঘর গ্রামের ভূইয়াপাড়া মহল্লার একটি বহুতল ভবনের পাশ থেকে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। হালিমা ওই গ্রামের মুন্সিহাঁটি মহল্লার রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে। এদিন সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় হালিমা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল কবির, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আবু সাঈদ, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।