Main Menu

দলীয় নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ছাত্রলীগ নেতার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

+100%-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মধ্যে দিয়ে ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২জনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার সকালে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু স্বয়ারের সামনে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও নিহত ছাত্রনেতাদের স্মৃতিরক্ষায় নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াসিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়াসহ আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এই দুর্ঘটনা মর্মান্তিক, দুঃখজনক, হৃদয়বিদারক। দূর্ঘটনায় আমরা হারিয়েছি ১২টি তাজা তরুন প্রাণ ও জেলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। তারা কোনো নেশা বা বিভিন্ন অপরাধমূল কাজে জড়িত ছিল না। নিহত ছাত্রনেতারা কোন পদ-পদবীর চিন্তা করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন তারা দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন, নিহত ছাত্রনেতারা একটি সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখতো। তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাদের শূন্যতা এবং তাদের স্বপ্ন বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা -কর্মীদের পুরণ করতে হবে।
পরে নিহত ১২ ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামীলী উলামা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ।
আলোচনা সভার আগে নিহত ছাত্রনেতাদের স্মৃতিরক্ষায় নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে প্রধান অতিথি সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগ নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পির সফর সঙ্গী হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ সন্তান।
এরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী আলম শান্ত-(৩১), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাবেক এজিএস আরিফুল ইসলাম বাবু-(৩০), জেলা ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন লিয়েন-(২৮), মোর্শেদ আলম-(২৯), শাহজাহান রহমতুল্লাহ রুমেল-(২৮), অ্যাডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ-(২৯), শেখ রায়হান উদ্দিন-(২৮), হাফেজ আব্দুল্লাহ মাসুদ তানভীর-(২৯), মোঃ ইমরানুর রেজা ইমরান-(২৮), নূরুল আসিফ চৌধুরী-(২৮) ও মিজানুর রহমান-(৩৫)। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোঃ আলমগীর-(২৮)। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব বরন করছেন জেলা ছাত্রলীগ জাহিদ হোসেন পাভেল।
১২ ছাত্র-নেতার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি স্মৃতি সৌধ।





Shares