হেফাজতের তান্ডব: কঠোর আইনি পদক্ষেপ চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫ মেয়র
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সুরের রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি পৌরসভার মেয়র যথাক্রমে, ১) মো: তাকজিল খলিফা, মেয়র, আখাউড়া পৌরসভা, ২) মিসেস নায়ার কবির, মেয়র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, ৩) অ্যাডভোকেট শীব শংকর দাস, মেয়র, নবীনগর পৌরসভা, ৪) মো: তফাজ্জল হোসেন, মেয়র, রাঞ্ছারামপুর পৌরসভা, ৫) মো: এমরান উদ্দিন জুয়েল, মেয়র কসবা পৌরসভা; এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
একই সাথে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিকরছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজীব শতবর্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই হামলা আমাদের হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করেছে।
হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পৌরসভার সকল নথিপত্র, যানবাহন পুড়ে ধংস করে দেয়া হয়। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন, অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। আমরা মনে করি এই হামলা পরিকল্পিত এবং জামাত, বিএনপি’র ইন্দন রয়েছে। এসব ইন্দন দাতাদের খোঁজে বের করতে হবে।
২৮ মার্চ ২০২১ খ্রি. হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়েছে-সরকারি বেসরকারী অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনা, আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়ি, এমনকি পুলিশ কার্যালয়ে। বাদ যায়নি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন এবং প্রেসক্লাবও ইতিহাসে নজিরবিহীন।
হামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন, ভূমি অফিস, জেলা পরিষদ ভবন, পাবলিক লাইব্রেরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা পুলিশ লাইন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জেলা আওয়ামীলীগের অফিস, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের অফিস, বাড়িও তাঁর শশুরের বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতেও। তারা শুধু হামলা চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে সব।
আমরা এসব ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি। একই সাথে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইনি পদক্ষেপ আশা করছি। যাতে ভবিষ্যতে কোন শক্তি এমন হামলার সাহস না পায়।