হেফাজতের তাণ্ডব: পুলিশের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষের সময় এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারের একটি মিষ্টির দোকান থেকে গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সুহিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কেন্দুবাড়ির মৃত ছামীর আলীর ছেলে আরব আলী (৪০) ও সুহিলপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার মৃত রমিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির মিয়া (৪২)।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের দুই সদস্য সিএনজি অটোরিকশায় করে আসামি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসছিলেন। ওই দিন সদর উপজেলার নন্দনপুরে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। রাস্তায় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের অটোরিকশাটি আটকে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় তারা।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের নায়েক মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, মৌলভীবাজারের জেলা পুলিশের দুজন সদস্য আসামি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে তাদের ওপর হামলা চালায় দুস্কৃতিকারীরা। এ সময় তারা একজন পুলিশ সদস্যের কোমরে রাখা ২০ রাউন্ড গুলি টান দিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার পুলিশ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে। বিষয়টি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুলিগুলো উদ্ধার করি।