Main Menu

সমাজকে বিজ্ঞান মনোষ্ককরে না গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অন্ধকার দূর হবে না। সেটাই হচ্ছে সংস্কৃতির আসল লড়াই::ড. পবিত্র সরকার

+100%-

20160110_194701ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার বলেছেন মানুষ ছাড়া আর কারো যেমন ভাষা নেই, তেমনি মানুষ ছাড়া আর কারো সংস্কৃতি নেই। মানুষ পৃথিবীতে যা কিছু যোগ করেছে তার সব কিছু হচ্ছে সংস্কৃতি। অর্থাৎ মানুষের সকল সৃষ্টিই হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের জীবনের সামগ্রীক অস্তিত্ব। এই সংস্কৃতি মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন ও সুন্দরের প্রকাশ ও বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত। সুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা মানুষের জীবনকে সুস্থ বিশ্বাসের দিকে এগিয়ে দিবে, কুসংস্কার হীনতার দিকে এগিয়ে দিবে, সত্যকার বিজ্ঞান চেতনার দিকে এগিয়ে দিবে। সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরী করে দিবে। বিজ্ঞানের চেতনা বা বিশ্বাস টা হচ্ছে আসল। বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান দরকার, পাশাপশি বিজ্ঞান বিষয়ে চেতনা দরকার। আর তা পুরো পুরো নেই বলেই আমাদের উপমহাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে বিজ্ঞান বিরোধী হিন্দু মুসলিম মৌলবাদীদের হামলার স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে। সমাজকে বিজ্ঞান মনোষ্ক করে না গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অন্ধকার দূর হবে না। সেটাই হচ্ছে সংস্কৃতির আসল লড়াই। তাই বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটাতে হবে। সংস্কৃতিক চেতনা আর বিজ্ঞান চেতনা আলাদা কিছু নয়। বিজ্ঞান আমাদের সুন্দরের রাস্তা দিয়ে সেই চেতনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সমস্ত সংস্কৃতিক কলা আমাকে সেই লক্ষে পৌছে দেবে। এমকি বিজ্ঞানের প্রবন্ধ আমাদেরকে ঐ লক্ষে পৌছে দিবে। সাহিত্য একাডেমী সহ বাংলাদেশের সব বুদ্ধিজীবিরা এই লড়াই করছে। তাদের এই সাহসী লড়ায়ের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী সকলকে থাকতে হবে।

তিনি গতকাল রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে অনুষ্ঠিত বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে “বাংলাদেশে বিজ্ঞান-সংস্কৃতি চর্চা ও জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়” শির্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তিতায় উপরোক্ত কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ড. মুহাম্মদ আব্দুল হাই, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. আবুল আজাদ, কবি আমিনুল ইসলাম, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব বাস্তাবায়ন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক মানবদ্ধর্ন পাল। কবিতা পাঠ করেন চট্টগ্রামের বাচিক শিল্পী প্রবীর পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক জামিল ফোরকান। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সুর অজ্ঞলি, আগরতলা, প্রাণেশ সোম- কলকাতা, রতœা দত্ত দে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং জেলা শিল্পীকলা একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ। সাহিত্য একাডেমী-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে চিনাইর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৃথক পৃথকভাবে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি পালিত হয়।প্রস রিলিজ






Shares