সংযোগ সড়ক না থাকায় পাঁচ মাসেও কাউতলীতে পল্টুন সেবা চালু হয়নি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলীতে নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা সহজ করতে প্রায় পাঁচ মাস আগে একটি সরকারি পন্টুন আনা হলেও সংযোগ সড়ক নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বুধবার এটি স্থাপন করতে বিআইডব্লিউটিএ এর একটি দল কাউতলী আসলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে দলটি ফিরে গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে কাউতলী মাছ বাজারসহ নৌকা ঘাটে যাতায়াতের রাস্তাটি মাহমুদুল হক ভূইয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তার এই ব্যক্তিগত রাস্তার ব্যবহার করেই বিআইডব্লিউটিএ পল্টুন নির্মাণ করতে চাইছে। যদিও মাহমুদুল হক ভূঁইয়ার আবদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর পাশে থাকা সওজের জায়গা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে উদ্ধারে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে নোটিশ জারী করে বিআইডব্লিউটিএ এর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদী বন্দর এর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শহীদ উল্ল্যাহ। কিন্তু অদৃশ্য কারনে সেই উচ্ছেদ অভিযান করা হয়নি। পরে বুধবার মাহমুদুল হক ভূইয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবহার করে পল্টুন স্থাপন করতে চাইলে তিনি বাধা দেন।
জায়গার মালিক মাহমুদুল হক ভূইয়া জানান, তার আবেদনের পরিপেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু হয়। যাত্রী সাধারণের নিরাপদ ও নিবিগ্ন চলাচলের সুবিধার্থে সরকারি জায়গার অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সওজ, সড়ক বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক উচ্ছেদের জন্য বিআইডব্লিটিএ আশুগঞ্জ ভৈরব বাজার নদী বন্দরকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। এরপর স্বেচ্ছায় অর্ধেক মানুষ তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিলেও কিছু লোক ভৈরব বন্দরের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মৌখিক আদেশটি স্থগিত করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে তারা রাস্তা করতে পায়তারা করছে।
আশুগঞ্জ-ভৈরব বন্দরের সহকারি সম্বনয়ক গাজী আব্দুল মোতালিব জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে বেশী অবগত না। বাজার কমিটি এবং জায়গার মালিক সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।