সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা:: জেলা বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নাসিরনগর থানাধীন ধনকুড়া গ্রামের হযরত শাহজালাল (রাঃ) জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া, মাদ্রাসা মসজিদে তালা দেওয়া নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের সাথে স্থানীয় সাংসদ ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো: সাঈদুল হক সহ আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বিরোধের জের পাশাপাশি জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমে মোবাইল মেরামতের ধন্ধের জের ধরে পৌর সভার ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রনির সাথে মাদ্রাসার ছাত্ররা দ্বন্ধে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায় ব্যাপক হামলা ভাঙচুর চালায় ও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে। হাফেজ মাসুদুর রহমান সহ অসংখ্য ছাত্র শিক্ষক হামলায় আহত হয়। অতঃপর গভীর রাতে হাফেজ মাসুদুর রহমান মারা যায়। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১২/০১/২০১৬ইং তারিখ সকালে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সারা শহর প্রদক্ষিন করে। পুলিশ বাধা দিলে এক পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। জনমনে চরম আতঙ্ক ও অস্বস্তি নেমে আসে।
ঐদিন যেসকল অনাকাঙ্খিত জালাও পুড়াও, ভাঁঙচুর ও তান্ডব ঘটেছে তা কারও কাম্য নয়। ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জেলাবাসী সহ সারা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। এসব ঘটনা সকল ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার কোন তথ্য প্রমান নেই। যেখানে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও মাদ্রাসার ছাত্র ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী জানে শাষক দলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কারণে বিএনপি- অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ৭৭ দিন কারান্তরীন ছিল। তাঁরা আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পেয়ে আসার পর নতুন করে ঐদিনই শুরু হয় পূর্বরূপ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় নিজেদের ঘটনাকে ভিন্ন ভাবে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে শাষক দলের কতিপয় নেতা ঘৃণ্য চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিএনপি- অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীদের নামে দেওয়া হচ্ছে মিথ্যা, বানোয়াট, সাজানো মামলা। তাদের এহেন নির্লজ্জ কর্মকান্ডের প্রকৃতি চিত্র তখনই প্রকাশ পায়, যখন দেখা যায় এসব ঘৃণ্য ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আসামী না করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে বিএনপি- অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢালাও ভাবে আসামী করে উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে স্থানীয় শাষকদলের সৃষ্ট বিরোধের সাথে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নাই এবং ছিল না। এমনকি কোন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। যাহা প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য।
গত ১৩ জানুয়ারি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরো ঘটনার দায় বিএনপির উপর চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যাহা তাদের নীচ মানসিকতার বর্হি:প্রকাশ। এর মাধ্যমে আবারও প্রমানিত হলো এহেন ঘৃণ তৎপরতার মাধমে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ফরমায়েসী ও ষড়যন্ত্রমূলক এফআইআর করা হয়েছে। যাহা চরম নিন্দনীয় ও ঘৃণিত।
বিগত কয়েকদিনের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় কোন প্রকার নিরীহ নিরপরাদ লোককে না জড়িয়ে যারা প্রকৃত দায়ী সুষ্ট নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আসন্ন পৌর নির্বাচনের খেলার মাঠ থেকে বিএনপিকে দূরে রাখার জন্যই এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা।
আমরা সকল প্রকার হয়রানি বন্ধসহ সমস্ত মিথ্যা, বানোয়াট, ফরমায়েসী মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি। প্রেস রিলিজ