রবিবার থেকে চলবে ট্রেন, প্রস্তুত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে স্টেশনগুলো
রবিবার থেকে চালু হবে পূর্বাঞ্চল রেলপথে ট্রেন চলাচল। রেলওয়ে বিভাগ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ও স্টেশন গুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। প্রাথমিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন ট্রেনের বিরতি না থাকলেও ৩ জুন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস যাত্রা বিরতী দেবে। তবে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুতি চলছে। শনিবার পূর্বাঞ্চল রেলপথ ঘুরে দেখা যায় স্টেশনে স্টেশনে রেলকর্মীরা রেলপথ সংস্কারে কাজ করছে। পাশপাশি রেল পথে লাইন ও নাটবল্টু গুলোও পরীক্ষা করে দেখছে। শনিবারের মধ্যে শেষ হবে তাদের সংস্কার ও মেরামত কাজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কারিগরি দলের সুপার ভাইজার মো. হোসেন জানান, এদিকে পূর্বাঞ্চল রেলপথে রেল স্টেশন গুলোও ধুয়ে মুছে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। পাশপাশি টিকেট বিক্রি জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে গোল বৃত্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেগুলো সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেগুলো হল- বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর রেলস্টেশনে ট্রেন থামবেনা, সবাইকে কমলাপুর স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে। স্লিপার বার্থের বিছানাপত্র দেয়া হবেনা। ট্রেনে খাবার বিক্রি বন্ধ। এক কামরা থেকে অন্য কামরায় বিচরন করা যাবে না। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ট্রেন ছাড়ার ১ ঘন্টা আগে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে, অন্যথায় ট্রেনে উঠতে দেয়া হবেনা। মাস্ক ছাড়া ট্রেন তো দূরের কথা, স্টেশন এলাকাতেই প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। থার্মাল স্কানার নিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার পূর্বে ওয়াশপিটে জীবানুনাশক দিয়ে ওয়াশ করা হবে। ট্রেনের ভিতরের সীট, হাতল ও মেঝেতেও জীবানুনাশক স্প্রে করা হবে। ট্রেনে উঠার সময় জীবানুনাশক পানি থাকবে, সেখানে পা চুবিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে। কোন অসুস্থ রোগী ট্রেনে ভ্রমন করতে পারবে না। ট্রেনে হকার ভিক্ষুক প্রবেশ করবে না। টিকিট চেকার ও এটেন্ডেন্টদের পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩১ মে সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কালনী, পঞ্চগড়, লালমনি, বণলতা, উদয়ন ও চিত্রা এক্সপ্রেস এই ৮ টি ট্রেন দিয়ে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আগামী ৩ জুন থেকে চালু হবে তিস্তা, বেনাপোল, নীলসাগর, রূপসা, কপোতাক্ষ, মধুমতি, মেঘনা, কিশোরগঞ্জ, উপকূল, ব্রহ্মপুত্র ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এই ১১ টি ট্রেন। ৩ তারিখ থেকে মোট ১৯ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। বন্ধ থাকবে সকল মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন।
১০০% টিকিট অনলাইনে, কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হবে না। স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ। মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে। এক সীট পর পর যাত্রী বসবে। টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচী আগের মতই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ছাড়া স্টপেজ স্টেশন রাখা হবে না।